Birbhum : ‘তৃণমূলে ফিরতে উদগ্রীব অনেকে ২০২৪ সালে বিজেপিতে ফিরে যাবে’, ‘চিহ্নিত’ করতে কর্মীদের নির্দেশ তৃণমূল নেতার

Birbhum : নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের বক্তব্য, একুশের নির্বাচনের আগে যাঁরা বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে ব্যস্ত। কিন্তু, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় তাঁরা আবার বিজেপি করতে যাবেন।

Birbhum : 'তৃণমূলে ফিরতে উদগ্রীব অনেকে ২০২৪ সালে বিজেপিতে ফিরে যাবে', 'চিহ্নিত' করতে কর্মীদের নির্দেশ তৃণমূল নেতার
নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 6:19 PM

বীরভূম : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলের হিড়িক পড়েছিল। ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল অনেক নেতা-কর্মীদের। বীরভূম জেলাতেও তার ছাপ পড়েছিল। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আবার দলবদলের হিড়িক পড়ে। তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর বিজেপিতে যাওয়া অনেক নেতা-কর্মী তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। তৃণমূলের অনেক নেতা বলছেন, দরজা খুলে দিলে বিজেপি দলটাই রাজ্যে থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া নেতা-কর্মীদের নিয়ে নিজের দলের কর্মীদের সাবধান করলেন বীরভূমের নানুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য (TMC Block President)। তিনি বললেন, এখন তৃণমূলে ফেরার জন্য অনেকে উদগ্রীব। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের সময় তাঁরা আবার বিজেপিতে ফিরে যাবেন। ওইসব নেতা কর্মীদের চিহ্নিত করতে দলের সমর্থকদের বার্তা দিলেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল ভিত্তিক কর্মিসভা চলছে বীরভূমে। রবিবার দাসকল গ্রাম কড়েয়া দু’নম্বর অঞ্চলের কর্মিসভা চলাকালীন নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝির উপস্থিতিতে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য।

বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলের সমর্থকদের সতর্ক করলেন তিনি। বলেন, “একুশের নির্বাচনের আগে যাঁরা আপনাদের গ্রামে বিজেপির হয়ে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন, তাঁরা কি আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন? তাঁরা এখন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে ব্যস্ত। সবাই বলবেন ‘আমাদের ভুল হয়েছিল, তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছি’। আমি বলছি, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় তাঁরা আবার বিজেপি করতে যাবেন। তার জন্য দাসকল গ্রাম কড়েয়া অঞ্চলের কর্মীদের বলে রাখি, শিবনগরের যেসব পুরুষ ও মহিলা কর্মীরা বিজেপিতে যেতে পারেন, তাঁদের চিহ্নিত করুন। তাঁদের তৃণমূল কংগ্রেসে সুযোগ নেই।”

কেন বিজেপিতে ফিরে যাবেন ওইসব নেতা-কর্মীরা, তারও যুক্তি দিলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূলে সরকারি প্রকল্প ছাড়া বিশেষ কিছু পাচ্ছেন না। তাই, মনটা বিজেপিতে রেখেছেন। শুধু গ্রামে সুষ্ঠু ভাবে থাকতে তৃণমূলে ফিরছেন।

Birbhum

তৃণমূলের লোক তো মঙ্গল গ্রহ থেকে আসেনি, বামফ্রন্ট থেকেও অনেকে এসেছেন, বললেন তৃণমূল এই নেতা

বালিয়াডা গ্রামের নাম নিয়ে তিনি বলেন, “বালিয়াড়া গ্রামের নেতাদের দেখতে পাচ্ছি না। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যাঁরা বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন, এখন গ্রামে সুষ্ঠু ভাবে থাকতে তাঁরা তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে বলছেন, আমরা তৃণমূল হয়ে গেলাম। বালিয়াড়ার সেই সমস্ত মানুষের মধ্যে যাঁরা মিটিংয়ে এসেছেন, মুখ দেখাতে পারবেন না। কিন্তু তাঁরা দলের সুযোগ নেবেন।”

তৃণমূলের কয়েকজন নেতা তোলা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলে সাবধানও করতে দেখা যায় তাঁকে। এই নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তাঁর যুক্তি, “১৯৭৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট একটা স্কুল খুলেছিল। কী করে সরকারি টাকার ভাগ নেওয়া যায়, সেই শিক্ষা দিতে। তৃণমূলের লোক তো মঙ্গল গ্রহ থেকে আসেনি। বামফ্রন্ট থেকে সেরকম অনেকে তৃণমূলে এসেছেন। আমরা তাঁদের প্রতিরোধ করছি। অনেককেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”