CPIM Worker: সিপিএম কর্মী খুনে ১২ তৃণমূল কর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত

CPIM Worker: ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে যায় জোর শোরগোল। ঘটনার পরদিনই রামপুরহাট থানায় ১৪ জনের নামে হুমায়ূনকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বোন জেসমিনা খাতুন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

CPIM Worker: সিপিএম কর্মী খুনে ১২ তৃণমূল কর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত
এলাকার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2023 | 3:29 PM

রামপুরহাট: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) বেলাগাম হিংসার অভিযোগ উঠেছিল গোটা রাজ্যে। ভোটের আগে হোক বা ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে দফায় দফায় তপ্ত হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর দিন এক সিপিএম কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই চলছিল মামলা। এই ঘটনায় ১২ জন তৃণমূল কর্মীকে যাবজ্জীবন সাজা দিল আদালত। এদিনই রামপুরহাট মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস দোষীদের এই সাজা দেন। 

তবে এই ঘটনা চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের নয়। ঘটনা ২০১৩ সালের। সূত্রের খবর, ওই বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরদিন ২৩ জুলাই বীরভূমের রামপুরহাট থানার সইপুর গ্রামে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। অভিযোগ, সিপিএম কর্মী হুমায়ূন মীরের (২৮) উপর চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। তাঁকে বাঁশ, লাঠি-সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। ২৪ জুলাই সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 

এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ততক্ষণে এলাকার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর শোরগোল। ঘটনার পরদিনই রামপুরহাট থানায় ১৪ জনের নামে হুমায়ূনকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বোন জেসমিনা খাতুন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এদিকে মামলা চলাকালীন সময়েই আবার ২ অভিযুক্তের মৃত্যুও হয়। চলতি বছরের ২০ জুলাই ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অবশেষে এদিনই করা হল সাজার ঘোষণা।