ISRO: ইসরোয় যাচ্ছে বীরভূমের ক্লাস নাইনের সৃঞ্জা
Nanur: বীরভূমের নানুর বিধানসভার অন্তর্গত কীর্ণাহারের বাসিন্দা সৃঞ্জা মল্লিক। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র আয়োজিত ১৪ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে সে ডাক পেয়েছে।
নানুর: কখনও বোমা উদ্ধার, কখনও খুন। কখনও বা রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি! আকছাড় খবরের উঠে আসে বীরভূমের নানুর। বোমা-গুলির জন্য এক প্রকার তটস্থ হয়ে থাকেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। তবে এবার সেই নানুরেরই ‘ছোট্ট’ মেয়ে যাচ্ছে ইসরোতে। মহাকাশ গবেষণার প্রশিক্ষণ নিতে আর কয়েকদিন পরই পাড়ি দেবে সে। এলাকার মেয়ের এই সাফল্যে খুশি সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
বীরভূমের নানুর বিধানসভার অন্তর্গত কীর্ণাহারের বাসিন্দা সৃঞ্জা মল্লিক। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র আয়োজিত ১৪ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে সে ডাক পেয়েছে। মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কীয় ‘অন্তরীক্ষ জিজ্ঞাসা’ অনুষ্ঠানে যুববিজ্ঞানী কার্যক্রমে আগামী ১৪-২৭ মে অংশ নিতে অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় যাবে সৃঞ্জা।
বীরভূমের নূতনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস নাইনে পড়ে সৃঞ্জা মল্লিক। তার বাবা সৌম্যজিৎ মল্লিক ও মা অদিতি মল্লিক ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করেন। সৃঞ্জা তাঁদের একমাত্র মেয়ে। এ দিকে, ছোট্টা সৃঞ্জার সাফল্যের খবর পেয়েই ততক্ষনাৎ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ ও নানুর বিধানসভার বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি। দু’জনেই আর্শীবাদ করছেন যাতে উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারে সে।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে সৃঞ্জা বলছে, “আমি খুব উৎসুক হয়ে আছি। এই প্রথমবার চোখের সামনে রকেট দেখতে পাব। কীভাবে সেগুলি উৎক্ষেপন করে। ডঃ এ পি জে আবদুল কালাম আমার অনুপ্রেরণা।”