AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

টানা ৬ দিনের জন্য বন্ধ থাকছে তারাপীঠ মন্দির!

Tarapith: ইতিমধ্যেই মন্দির কমিটি ও জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কৌশিকী অমাবস্যার কারণে ৩ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখা হবে।

টানা ৬ দিনের জন্য বন্ধ থাকছে তারাপীঠ মন্দির!
তারাপীঠ, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2021 | 11:42 AM
Share

বীরভূম: কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠ মন্দির বন্ধ করে রাখা হল। মন্দির কমিটি ও প্রশাসনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রত্যেক বছর কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠ মন্দিরের দূর-দূরান্ত থেকে ভিড় জমে। প্রায় লক্ষাধিক পুণ্যার্থী সেদিন পুজো দিতে আসেন। চলে হোম যজ্ঞও। সে মতোই এবারও সেই সম্ভাবনাই ছিল।

ইতিমধ্যেই মন্দির কমিটি ও জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কৌশিকী অমাবস্যার কারণে ৩ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখা হবে। প্রবেশ করবেন না কোনও পুণ্যার্থী। শুধুমাত্র মন্দির কমিটির তরফ থেকে আয়োজন করা হবে নিত্য পূজার।

তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা আগেই প্রশাসনের তরফ থেকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম যে ৩ তারিখ থেকে ৮ তারিখ মন্দির বন্ধ থাকবে। এইসময় তারাপীঠ মন্দিরে প্রবেশ করা একদমই নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র সেবাইতদের তরফ থেকে করা হবে নিত্য পূজা। ”

তিনি আরও বলেন, “মন্দিরের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা মন্দিরে মোতায়েন রয়েছেন। তাঁরা কোনও পুণ্যার্থীকে প্রবেশ করতে দেবেন না। সঙ্গেই তারাপীঠে কোন পর্যটক প্রবেশ করছে কিনা সেটা প্রশাসন দেখাশোনা করছে।”

হোটেল ব্যবসায়ীর কথায়, প্রশাসনের নির্দেশে সব হোটেল ছ’দিন বন্ধ থাকবে। তবে কী বলুন তো, এটাই তো আমার রুজি রুটি। আবার এখানকারও অনেক গরিব মানুষ হোটেলের কর্মী। লকডাউনে এমনই পরিস্থিতি খারাপ ছিল। অনেকদিনই বন্ধ ছিল হোটেল। তার ওপর আবার বন্ধ! ফলে সমস্যা তো হবেই। এই ঘটনা বারবার হতে থাকছে। কীভাবে সংসার চলবে, কীভাবেই বা কর্মীদের বেতন দেব- জানি না। তবে করোনার মধ্যে আর তো কিছু করার নেই। মানুষের প্রাণটাই আগে।”

বৃহস্পতিবারই অনেককে পুজো দিতে দেখা যায়। তাঁদেরই এক জন বলেন, “আমরা কৌশিকী অমাবস্যার প্রতিবারই পুজো দিতে আসি তারাপীঠে। কিন্তু এবার আসতাম না। আগেই সেটা ঠিক করেছিলাম। যা ভিড় হয় প্রতিবার, তাতে এবার সেরকম ভিড় হলে সংক্রমণ তো বাড়বেই, সেটা নিশ্চিত। তারওপর তো সেই সময়ই আবার তৃতীয় ঢেউ আসবে। ”

কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠ মহাশ্মশানের সাধক বামাক্ষ্যাপা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ফলে ওই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয় বলেই মনে করেন ভক্তরা। ফলে ভিড় হয় পুণ্যলাভের আশাতেই।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা সামলে ওঠার পর ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছিল মন্দিরগুলির দরজা।  বিপত্তারিণী পুজোর দিনে খুলে দেওয়া হয় দক্ষিণেশ্বর মন্দির। অন্যদিকে, গুরু পূর্ণিমার দিনে খোলা হয়েছিল বেলুড় মঠ। ধীরে ধীরে খুলেছিল তারকেশ্বর মন্দিরও। তবে, এ বার সংক্রমণের নতুন ঢেউ ঠেকাতেই এই বিশেষ ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসন।  আরও পড়ুন: