Birbhum: বীরভূমে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, কোর কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন বড় নেতা
Birbhum: শুক্রবার জেলা কোর কমিটির বৈঠক ছিল খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে। বৈঠকে ছিলেন জেলা কোর কমিটির সদস্য চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরী ও সুদীপ্ত ঘোষ। সেখানেই কোর কমিটিতে একাদিক সদস্যকে নতুন পদে বহাল করা হয়।

দুবরাজপুর: কোর কমিটি গঠন করেও মিটছে না সমস্যা। ফের খয়রাশোলে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। যাকে কেন্দ্র করে নতুন করে চাপানউতোর জেলার রাজনৈতিক মহলে। পুরো ঘটনাই ঘটল রাজ্যের মন্ত্রী-সহ জেলা কোর কমিটির তিন সদস্যের সামনে। খয়রাশোল ব্লক কোর কমিটি থেকে পদত্যাগ করে দিলেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী। তাঁর দাবি, দুর্নীতিগ্রস্ত এক নেতাকে কোর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। সে কারণেই বাধ্য হয়ে তিনি পদত্যাগ করছেন।
প্রসঙ্গত, খয়রাশোল ব্লক কোর কমিটি তৈরি নিয়ে চাপানউতোর চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। চর্চা চলছিল জেলার রাজনৈতিক মহলে। কয়েকদিন আগে রাজ্য তৃণমূলের নির্দেশ মেনেই খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি পদ থেকে কাঞ্চন অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে কাউকে ব্লক সভাপতির দায়িত্বে বহালও করা হয়নি। উল্টে খয়রাশোল ব্লকের তৃণমূলের পাঁচ জনের একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। এই পাঁচ জন কমিটির মধ্যে রয়েছেন কাঞ্চন অধিকারী, কাঞ্চন দে, কেদার ঘোষ, শ্যামল গায়েন ও উজ্জ্বল কাদেরী। যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের অন্দর থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলছিল। এরইমধ্যে কাঞ্চনের সরে যাওয়া নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
এদিকে শুক্রবার জেলা কোর কমিটির বৈঠক ছিল খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে। বৈঠকে ছিলেন জেলা কোর কমিটির সদস্য চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরী ও সুদীপ্ত ঘোষ। সেখানেই কোর কমিটিতে একাদিক সদস্যকে নতুন পদে বহাল করা হয়। কেদার ঘোষ ও শ্যামল গায়েনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়। কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের তীব্র আপত্তি জানান কাঞ্চন অধিকারী। স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি কোর কমিটিতে থাকবেন না। যা নিয়ে দলের অন্দরেই নানা কানাঘুঁষো শুরু হয়ে যায়। যদিও কাঞ্চন আক্রমণ শানান শ্য়ামল গায়েনের দিকে। তাঁর সাফ দাবি, শ্যামল দুর্নীতিগ্রস্ত। তা সবাই জানে। সে কারণেই তিনি এই কমিটিতে থাকতে জানান। স্পষ্ট বলেন, আমি সাধারণ কর্মী হয়ে থাকতে চাই।





