Visva Bharati: বিশ্বভারতী-রাজ্য বেনজির সংঘাতে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী

Visva Bharati: সন্ধ্যাতেই বিশ্বভারতীর তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে বলা হয়, বিশ্বভারতীর ওপর মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ না থাকলেও চলবে। কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে চলবে। এই বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পরও চরমে ওঠে সংঘাত।

Visva Bharati: বিশ্বভারতী-রাজ্য বেনজির সংঘাতে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী
উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2023 | 4:33 PM

বোলপুর: বিশ্বভারতীতে (Visvabharati) বেনজির সংঘাত। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) পাশে দাঁড়িয়ে তোপের পর এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠির তোড়জোড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চরমে উঠেছে বিশ্বভারতী-রাজ্য সংঘাত। বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি করবেন।  বুধবার বোলপুরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “আদালতের রায় ওরা মানেনি। ওদের কথা আগে শুনব, তারপর আমাদেরটা জানাব। আমরা অল রেডি প্ল্যান করে নিয়েছি, চিন্তা করার কারণ নেই। রবীন্দ্রনাথের শেষ বংশধর সুপ্রিয় ঠাকুর আমার কাছে দুঃখ করছিলেন, তাঁর বাড়ির সামনেও পাঁচিল তুলে দিয়েছেন। বিশ্বভারতীকে গৈরিকীকরণ করতে চান ওঁরা।” বোলপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে অর্মত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্ধ্যায় প্রকাশ্যে আসে বিশ্বভারতীর একটি বিবৃতি। তাতে মমতাকে তুলোধনা করে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বভারতী বলে, “পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন।” আরও লেখা হয়, “স্তাবকরাই শেষ কথা।” চাঁচাছোলা সেই বিবৃততে সই ছিল পিআরও-র। গোটা বিষয়টি নিয়ে চরম শোরগোল বাংলার রাজনীতিতে। সরব কুণালও। পাল্টা শাসককে দুষেই সরব বিরোধীরা।

বুধবার বোলপুরে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বভারতীর ভিসি-কে নাম না করে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগের দিনই বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁদের সঙ্গে। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকারা কাঁদছেন। শান্তিনিকেতনের কী অবস্থা। কাউকে সাসপেন্ড করেছে, কারোর চাকরি দিয়েছে। আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলার জন্য ওদের সঙ্গে কথা বলিনি। যারা পড়তে চান, তাদের ব্যবস্থা করে দেওয়ার ক্ষমতা আমি রাখি।” সংঘাতের সূচনা সেখান থেকেই হয়।

সন্ধ্যাতেই বিশ্বভারতীর তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, তাতে বলা হয়, বিশ্বভারতীর ওপর মুখ্যমন্ত্রীর আর্শীবাদ না থাকলেও চলবে। কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে চলবে। এই বিবৃতি প্রকাশিত হওয়ার পরও চরমে ওঠে সংঘাত। তৃণমূলের তরফে এর তীব্র নিন্দা করা হয়।

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিশ্বভারতীর প্রেস রিলিজ়ে যখন বিশ্বকবির মার্গ দর্শনে চলি না লিখে লেখা হয়, প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনে চলি, তখনই বোঝা যায় এটি কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নয়, বিজেপির আখড়ায় তৈরি একটি রাজনৈতিক চিরকুট। ফলে এতে বাস্তব রুচি, শালীনতা থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। মুখ্যমন্ত্রীকে কুৎসিতভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।”

বিষয়টির তীব্র নিন্দা করেছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ। শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, “বিশ্বভারতী যদি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রেস রিলিজ় করে থাকে, তাহলে আমি বলব ব্যাপারটা আদালত মীমাংসা করুক। অমর্ত্য সেনের জমির বিষয়টাও আদালত মীমাংসা করুক। আমি উপাচার্যকেও অনুরোধ করব, তিনি যেন নিজে কোনও ব্যাখ্যা না করেন।”