Visva Bharati: বিশ্বভারতীর উপাচার্য শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছেন, বিদ্যুতের পাশে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

Visva Bharati: বিভিন্ন সময়ে বিশ্বভারতীর আশ্রমিক থেকে প্রাক্তনীদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে গুরুদেবের যে আদর্শ তা নষ্ট হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার তা মানতে নারাজ।

Visva Bharati: বিশ্বভারতীর উপাচার্য শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করছেন, বিদ্যুতের পাশে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও সুভাষ সরকার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 24, 2023 | 3:09 PM

বোলপুর: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) সমাবর্তনের সকালেও বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে উপাচার্য বিরোধী পোস্টার। সেই পোস্টার ঘিরে দানা বাঁধে বিতর্ক। পোস্টারে লেখা হয়, নিজের পদের মেয়াদ বাড়াতে এই সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। উপাচার্য ‘দূর হঠো’ বলেও লেখা হয় পোস্টারে। যা নিয়ে তীব্র চাপানউতর শুরু হয় শুক্রবারের সকালে। যদিও এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা বলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। বলেন, শৃঙ্খলা ফেরাতে সঠিক পদক্ষেপই করছেন উপাচার্য। জানিয়ে দেন, উপাচার্যের পাশেই আছেন তিনি। এদিন সুভাষ সরকার বলেন, “উপাচার্য এখানে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করেছেন। আর করছেনও। সে কারণেই কখনও কখনও এরকম খারাপ লাগছে। দু’ এক জায়গায় পোস্টার পড়তেই পারে। এটা তো বিভিন্ন জায়গায় হয়। এটাকে গ্রাহ্য করা উচিত নয়।”

বিভিন্ন সময়ে বিশ্বভারতীর আশ্রমিক থেকে প্রাক্তনীদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে গুরুদেবের যে আদর্শ তা নষ্ট হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার তা মানতে নারাজ। বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়েই এদিন সুভাষ সরকার বলেন, “এটা ঠিক নয়। কারণ, আশ্রমিক পরিবেশ যা কিছু তা কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমাদের মন্ত্রক থেকেও বলা হয়েছে। আমি আশা করি উপাচার্য করবেন।” উপাচার্যকে নিয়ে বিতর্কেরও কিছু নেই বলেই মত সুভাষ সরকারের।

তিনি বলেন, তাঁর কাছে এরকম কোনও খবর নেই। তবে অনেক সময় রাজনৈতিক দল বিশেষ কোনও ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমানসে এসব বলার চেষ্টা করে। সুভাষ সরকারের সংযোজন, “কখনও একটা জমি বিতর্ক, কখনও অন্য কিছু আসছে।”

যদিও বিশ্বভারতীর উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ বলেন, “এই উপাচার্য আমন্ত্রণ বোধ করেননি। কোনও বৈঠকে ডাকেননি। আজ সমাবর্তন উৎসবের খবর দিয়েছেন ৭২ ঘণ্টা আগে, একটা ইমেলের মাধ্যমে। রেজিস্ট্রার সেটি পাঠিয়েছেন। আমিও জবাব দিয়ে বলেছি, এটা অপ্রত্যাশিত, অভাবনীয়, অনুচিত এবং আপনি এই কাজ করতে পারেন না।”