TMC Leader: পঞ্চায়েত ভোটে ‘হাতে হাতে লাঠি চাই’, বিজয়া সম্মিলনীতে তৃণমূল ব্লক সভাপতির মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক
Birbhum News: জিম্মির বক্তব্য, গ্রামেগঞ্জের মানুষ রাস্তায় লাঠি হাতেই বের হন। আর সেই লাঠিতে ঝান্ডা থাকলে তা দলের কর্মীদের মনোবলও বাড়ায়।
বীরভূম: ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের লাঠি ধরার নিদান দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি। তিনি বার্তা দেন, তৃণমূলের কর্মীরা পঞ্চায়েত ভোটে যেন হাতে লাঠি তুলে নেন। তবে এরসঙ্গেই জিম্মি জুড়ে দেন, সেই লাঠিতে থাকবে দলের ঝান্ডা। সেই ঝান্ডার জোড়েই বিরোধীরা পরাজিত হবে বলেও দাবি করেন তিনি। রবিবার রামপুরহাটে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী ছিল। সেখানেই জিম্মির এই বক্তব্য।
আগামী বছর এ রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ভোটের উত্তাপ মালুম হচ্ছে জেলায় জেলায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই তাঁদের কর্মসূচিতে পঞ্চায়েত ভোটের বিষয়টি তুলে ধরছে। প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দিচ্ছে সমস্ত স্তরের কর্মীদের। শাসকদল বিভিন্ন জেলায় বিজয়া সম্মিলনীকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত ভোটে তৈরি হওয়ার বার্তা দিচ্ছে।
রবিবার সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “একটা কথা মাথায় রাখবেন সামনের নির্বাচনে আমাদের প্রত্যেকের হাতে হাতে লাঠি চাই। লাঠির সঙ্গে ঝান্ডা থাকবে। সেই ঝান্ডায় আমরা বিরোধীদের পরাজিত করব। আমি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হিসাবে আজকের দিনটায় আপনাদের সকলকে নিয়ে শপথ নিতে চাই। আমি বুথের সমস্ত কর্মীর বিপদে আপদে আপনাদের পাশে রয়েছি।”
যদিও এই লাঠি প্রসঙ্গে পরে জিম্মির ব্যাখ্যা, “কর্মীরাই আমাদের আসল সেনাপতি। গ্রামবাংলার কর্মীরা, গ্রামের মানুষ যখনই রাস্তায় বের হন হাতে লাঠি রাখেন। কারণ সাপখোপ, অনেক জন্তু জানোয়ারকে প্রতিহত করতে হয়। রাজনৈতিক কর্মীদের তো ঝান্ডার সঙ্গে ডান্ডা থাকবেই। কারণ ঝান্ডা ডান্ডা ছাড়া হয় না। সেই ঝান্ডা লাঠিতে থাকবে। পতপত করে উড়বে। তার ফলে কর্মীদের মনোবল বাড়বে এবং আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝান্ডা এবং ডান্ডা নিয়েই বুথে বুথে জয়লাভ করব। মানুষের ভালবাসা এবং মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে এই জয় আসবে।” এদিনের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ও। শতাব্দী বলেন, “প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যাঁরা স্বচ্ছ প্রার্থী, যাঁদের সকলে চায়, সেরকম মানুষই প্রার্থী হবেন।”