Suicide: মায়ের বুকের কাছেই পড়ে নিথর ছেলে, কিছু দূরে স্বামী… সন্তানকে বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী দম্পতি
Parui: মহুলার প্রশান্ত পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তৃপ্তির। তাঁদের এক পুত্রসন্তান ছিল, নাম দীপ।
বীরভূম: শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। পারিবারিক অশান্তির জেরে একই পরিবারের তিনজন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন। অভিযোগ, মা ছেলের বউকে সহ্য করতে পারতেন না। এই নিয়ে প্রায় প্রায়ই ঝামেলা হত সংসারে। এমনকী বৌমার গায়ে হাত পর্যন্ত তুলতেন শাশুড়ি। নিত্যদিনের এই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেতে স্বামী-স্ত্রী ঠিক করেন নিজেদের শেষ করে দেবেন। কিন্তু ছোট ছেলেও রয়েছে ঘরে। নবম শ্রেণির ছাত্র। তার কী হবে? এরপরই প্ল্যান করেন ছেলেকে নিয়ে মরবেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। সোমবার রাতে পাড়ুই থানার মহুলা গ্রামে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনজন। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেখানে সাতজনের নামও লেখা রয়েছে।
মহুলার প্রশান্ত পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তৃপ্তি ঘোষের। তাঁদের এক পুত্রসন্তান ছিল, নাম দীপ। তৃপ্তির মায়ের অভিযোগ, কোনওদিনই তাঁর মেয়েকে শাশুড়ি পছন্দ করতেন না। যদিও জামাই মাকে বোঝানোর চেষ্টা করতেন। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু তো হতই না। উল্টে বৌমাকে মারধর পর্যন্ত করতেন বলে অভিযোগ। এদিকে মেয়ে বাড়িতে ফোন করে দাদাকে, মাকে বলতেন, আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে না তাঁর। মা, দাদা পাল্টা বোনকে বোঝাতেন। প্রবল মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন ওই দম্পতি। এরপরই সোমবার এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অনুমান, ছেলেকে আগে বিষ খাইয়ে তারপর নিজেরাও তা খেয়ে নেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, যখন ঘর থেকে তিনজনকে বের করা হয়, মায়ের কোলের কাছেই পড়েছিল ছেলে। স্বামীও ঘরেই পড়েছিলেন। বীভৎস সে দৃশ্য। পারিবারিক অশান্তির কারণে এভাবে তিনটে টাটকা প্রাণ শেষ হয়ে যাবে ভাবতেও পারছেন না মহুলার মানুষ। স্থানীয়রাই খবর দেন পুলিশে। উদ্ধারেও হাত লাগান তাঁরা। তিনজনকে উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা প্রথমে মা ও ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিছু পরেই মৃত্যু হয় প্রশান্তরও। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকার লোকজন। পুলিশ পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি সাতজনের সঙ্গেই কথা বলছে।