অমিত-সভায় ডাক পাননি বিশ্বজিৎ, ফের তৃণমূলে?

ফের তৃণমূলে নাকি বিজেপিতেই থাকবেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক? জোর জল্পনা

অমিত-সভায় ডাক পাননি বিশ্বজিৎ, ফের তৃণমূলে?
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 10, 2021 | 6:19 PM

বনগাঁ: তৃণমূলে যাবেন নাকি বিজেপিতেই থাকবেন? গত সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর উত্তর ২৪ পরগনার দুই বিজেপি বিধায়ক সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাসকে ঘিরে তীব্র হয়েছে জল্পনা। এর মধ্যে বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎকে (Biswajit Das) নিয়ে সেই জল্পনা আরও গতি পেল বুধবার। রাত পোহালেই মতুয়াদের প্রতীক্ষিত অমিত শাহের (Amit Shah) সভা হতে চলছে ঠাকুরনগরে। শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। কিন্তু সেই সভায় আমন্ত্রণ পাননি বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক!

বুধবার বিশ্বজিৎ দাস জানান, সভায় তাঁকে কেউ আমন্ত্রণ জানাননি। এদিকে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মোনসপতিদেবের বক্তব্য, এটি মতুয়াদের সভা, তাই সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষজনকেই শুধু আমন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু গত ৩০ জানুয়ারি মুলতুবি হওয়া শাহি সভায় তো আমন্ত্রিত ছিলেন বিশ্বজিৎ। তাহলে এখন নয় কেন? তার কোনও সদুত্তর মেলেনি বিজেপির তরফে।

আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটে মতুয়া-প্রার্থী নিয়ে মুখ খুললেন শান্তনু ঠাকুর

এ নিয়ে বিশ্বজিৎ নিজে কী বলছেন? তিনি যেন কিছুটা ভাবলেশহীন। আবার অভিমানীও বটে। বলছেন, রাতের মধ্যে যদি আমন্ত্রণ পাই যাব সভায়। এ নিয়ে আবার জেলার তৃণমূল নেতা তথা বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠের খোঁচা, ‘লোভ করে বিজেপিতে গিয়েছিল, এখন তো তার ফল ভুগতেই হবে।’

গত সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া দুই বিধায়ক, সুনীল সিং ও বিশ্বজিৎ দাস। তারপর দলবদলের মরসুমে দুই বিধায়ককে নিয়ে শুরু হয় ‘ঘরওয়াপসি’র জল্পনা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের নিরাপত্তা দিতে চেয়ে প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার। যদিও দু’জনেই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নিরাপত্তায় ‘না’ বিজেপি বিধায়কের, ঘর ওয়াপসির জল্পনায় জল?

এদিকে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘের নেতা শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে বিশ্বজিতের সম্পর্ক তেমন ভালো নয় বলে খবর। আসন্ন বিধানসভা ভোটে ফের বিশ্বজিৎ বিজেপির টিকিট পাবেন কিনা তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলত্যাগী বিজেপি বিধায়ক ও মমতার সাক্ষাৎ এবং অমিত-সভায় তাঁর আমন্ত্রণ না পাওয়া, দলবদলের মরসুমে এই ইঙ্গিত যথেষ্ট অর্থপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।