কয়লা পাচার কাণ্ডে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চায় সিবিআই, নজরে এক সাগরেদও

কিছুতেই লালার নাগাল পাচ্ছে না সিবিআই, উধাও তাঁর সঙ্গীও। বারবার নোটিস জারি করলেও হেলদোল নেই কয়লা পাচার কাণ্ডের কিংপিংয়ের

কয়লা পাচার কাণ্ডে লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চায় সিবিআই, নজরে এক সাগরেদও
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 18, 2021 | 10:20 PM

আসানসোল: কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling Scam) এ বার আরও সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা (Coal Smuggler Lala) ও তাঁর সঙ্গী রত্নেশ ভার্মার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য আসানসোলের বিশেষ আদালতে আবেদন করল কেন্দ্রীয় সিবিআই (CBI)। যদিও আদালত এই নিয়ে চূড়ান্ত কোনও রায় দেয়নি। তবে মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইওর কাছে ‘ইনভেন্ট্রি লিস্ট’, অর্থাৎ দুজনের সম্পত্তির যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে।

বারবার নোটিস দিয়ে ডেকে পাঠানোর পরেও হাজিরা না দেওয়ায় কয়লা পাচারের মামলার কিংপিন অনুপ মাজি ওরফে লালাকে ‘ফেরার’ ঘোষণা করেছিল আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। একই তকমা দেওয়া হয়েছিল লালার অন্যতম সহযোগী রত্নেশ ভার্মাকেও। গত ১১ জানুয়ারি একটি নোটিশ জারি করে বিচারক জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটিসে বলা হয়েছিলে, ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দু’জনকেই আসানসোল সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে হাজিরা না দিলে আইন মোতাবেক তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

গত ১৪ জানুয়ারি সেই নোটিস প্রথমে সিবিআইয়ের ৯ জনের একটি দল পুরুলিয়ার নিতুরিয়ার ভামুরিয়াতে লালার বাড়ির দেওয়ালে লাগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। একইভাবে, সেদিন সকালে সিবিআইয়ের ৪ জন অফিসারের একটি দল হীরাপুরের বড়তোড়িয়ায় রত্নেশ ভার্মার বাড়িতে আসে। সেখানেও সিবিআইয়ের অফিসাররা রত্নেশ ভার্মাকে পায়নি। সিবিআইয়ের অফিসাররা তাদের সঙ্গে কথা বলে রত্নেশের বাড়ির দেওয়ালে নোটিস লাগিয়ে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: অভিষেককে কেন রাজনীতিতে এনেছিলেন? এই প্রথম পরিবারের গোপন কথা প্রকাশ্যে জানালেন মমতা

এই সময়ের মধ্যে সিবিআইয়ের অফিসাররা লালা ও তাঁর সঙ্গীর কোন খোঁজ পায়নি। প্রথমে, আসানসোলের সিবিআই আদালত এই দু’জনের নামে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তাঁদেরকে নোটিশ দিয়ে সিবিআই নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের বাড়ি ও অফিসেও সিবিআইয়ের অফিসাররা হানা দিয়েছিলেন। কিন্তু কাউকেই পায়নি সিবিআই। এতকিছুর পরেও তাঁরা হাজিরা দেয়নি। এবার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর দিকেই এগোতে চাইছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: সপ্তম বেতন কমিশন থেকে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ, ভোট বাংলায় শাহি প্রতিশ্রুতি