Childs Death: খেলতে গিয়ে বন্ধ গাড়ির দরজা, শ্বাসকষ্টে মৃত্যু দুই শিশুর

Childs Death in Murshidabad : মারুতিভ্যানের ভিতর খেলা করছিল তিন শিশু। কোনওভাবে গাড়িটির গেট বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই হয় বিপত্তি।

Childs Death: খেলতে গিয়ে বন্ধ গাড়ির দরজা, শ্বাসকষ্টে মৃত্যু দুই শিশুর
মুর্শিদাবাদে শিশু মৃত্যু প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2021 | 7:21 PM

মুর্শিদাবাদ: জেলায় ফের শিশুমৃত্যু । শ্বাসকষ্ট নিয়ে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হল। মৃতদের বয়স ৪-৫ এর মধ্যে। একজনকে ভর্তি করা হয়েছে বহরমপুরে (Berhampore)।

ঘটনাস্থান মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়ায় তালতলা এলাকার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মারুতিভ্যানের ভিতর খেলা করছিল তিন শিশু। কোনওভাবে গাড়িটির গেট বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই হয় বিপত্তি। শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাদের। মৃত্যু হয় দু’জনের। মৃতদের বয়স ৫-৬ বছরের মধ্যে। আর একজনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

প্রসঙ্গত রাজ্যে শিশু মৃত্যুর খবর এখন সংবাদ শিরোনামে। অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গোটা রাজ্যেই বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণ মূলত শিশুদের ক্ষেত্রে হলেও ছাড় পাননি বড়রাও।

উত্তরবঙ্গে এই ছবিটা মারাত্মক আকার ধারণ করলেও দক্ষিণবঙ্গের অবস্থা খুব স্বাভাবিক নয়। ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে অজানা জ্বরে আক্রান্ত ১৫০ জন শিশু। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। কিন্তু, হাসপাতালে শয্যা-সঙ্কট। মিলছে না বেড। মেঝেতেই শুয়ে শিশুর দল। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে করোনা মোকাবিলা করতে রাজ্যের সকল হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য় দফতর, সেখানে কী করে সরকারি হাসপাতালের এমন দূর্বিষহ ছবি উঠে আসছে? তাহলে কি পূর্ব প্রস্তুতি নেয়নি হাসপাতাল?

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, আচমকা একসঙ্গে এত শিশু আক্রান্ত (Mystery Fever) হতে পারে এমন সম্ভাবনার কোনও ইঙ্গিত ছিল না। হঠাত্‍ করেই শতাধিক শিশুর এ হেন জ্বর, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট-সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত হওয়ায় কার্যত ম্যারাথন প্রস্তুতির পথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ৯৪ জন আক্রান্ত শিশুর জন্য বেডের ব্য়বস্থা করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজের উচ্চপদস্থ সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও করা হয়। আক্রান্ত শিশুদের কীভাবে চিকিত্‍সা পরিষেবা দেওয়া যায়, প্রয়োজনে অস্থায়ী শয্যা সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে কি না সে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। পাশাপাশি, শিশুদের লালারস-সহ অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে।

রাজ্যে শিশুমৃত্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন উঠতেই কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য দফতর। বাড়তে থাকে তৎপরতা। নবান্ন সূত্রে খবর, এই ইস্যুতে গত বুধবার মুখ্য সচিব বৈঠকও ডেকেন জরুরি ভিত্তিতে। সব জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয় সেই বৈঠকে। এক সপ্তাহের বেশি সময় কেটে যাওয়ারও পরও কেন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি? কেন জ্বরের কারণ জানতে এত বেশি সময় লাগছে? সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।

এ প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ আধিকারিক তথা চিকিত্‍সক সুশান্ত রায় দাবি করেছেন, জ্বর নিয়ে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। আবার উত্তরবঙ্গের চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, সঠিকভাবে সেই তথ্য জানানো হয়নি স্বাস্থ্য ভবনকে। তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে।

আরও পড়ুন: Jalpaiguri District Hospital: গায়েব পিকুর চাবি, অগত্যা তালা ভেঙে ঢুকলেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা