AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chopra: পাত্র-পাত্রীর চার হাত এক করে পুলিশি কেস খেলেন পুরোহিত, রান্না করে কেস খেলেন রাধুঁনিও! কী এমন হয়েছিল বিয়েতে?

Chopra: চোপড়ায় দু'সপ্তাহ আগে জেসিবির মধ্যযুগীয় বর্বরতার ছবি সামনে আসে। ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে উত্তাল হয় জাতীয় রাজনীতি।সেই রেশ কাটতে না কাটতে চোপড়াতেই আবারও প্রশাসনকে, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নাবালক নাবালিকার বিয়ে দিল তাদের পরিবার।

Chopra: পাত্র-পাত্রীর চার হাত এক করে পুলিশি কেস খেলেন পুরোহিত, রান্না করে কেস খেলেন রাধুঁনিও! কী এমন হয়েছিল বিয়েতে?
নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2024 | 5:04 PM

চোপড়া:  কলাপাতায় ঢাকা খাবার। পড়ে রয়েছে ডেকরেটর্সের জিনিস। ছাদনাতলা বাধা। বাড়িতে ধূমধাম করে বিয়ের আয়োজন। কিন্তু সেই বাড়িতে বিয়ে হল না। বিয়ে হল মন্দিরে। তাও আবার বিশাল লড়াই করে। প্রশাসনের সঙ্গে পাঙ্গা নিয়েই!

আবারও সেই চোপড়া। জেসিবি কাণ্ডের পর সেই চোপড়াতেই এবার মধ্যযুগীয় কায়দায় নাবালক-নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কর্তা, প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ফিরে আসতে বাধ্য হন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ধূমধাম করে বিয়ে হল নাবালক-নাবালিকার। ফের প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।

চোপড়ায় দু’সপ্তাহ আগে জেসিবির মধ্যযুগীয় বর্বরতার ছবি সামনে আসে। ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে উত্তাল হয় জাতীয় রাজনীতি।সেই রেশ কাটতে না কাটতে চোপড়াতেই আবারও প্রশাসনকে, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নাবালক নাবালিকার বিয়ে দিল তাদের পরিবার। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার ব্লকের হেদলাগছ এলাকার হনুমানগছ গ্রামে বৃহস্পতিবার বছর ১৫-র এক নাবালিকার বাড়িতে ধূমধামে বিয়ের আয়োজন হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সংবাদমাধ্যম খবর পেয়ে চোপড়ার বিডিওকে জানালে দুপুরেই চোপড়া থানার পুলিশ নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশও দেন। কিন্তু তারপরও  গভীর রাতে পাড়ার লোক এককাট্টা হয়ে এলাকার মন্দিরে দুই নাবালক নাবালিকার বিয়ে দেন বলে অভিযোগ।

নাবালিকার বিয়ে রোধে জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের দাবি, জেলা চাইল্ড লাইনের হেল্পলাইন নম্বর, স্থানীয় থানা বা বিডিও অফিস ছাড়াও প্রশাসনিক একাধিক স্তরে জানানো যেতে পারে। আর প্রশাসনকে জানানো হলে কড়া ব্যবস্থা আছে চাইল্ড ম্যারেজ অ্যাক্ট ২০০৬ অনুযায়ী। কিন্তু প্রশ্ন হল যখন সংবাদমাধ্যমের দ্বারা বিডিও বিষয়টি জানতে পারেন, সূত্র অনুযায়ী পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু তারপরও কেন পিছিয়ে আসতে হল প্রশাসনকে? কেন কোনও পদক্ষেপ নিল না বিডিও বা পুলিশ? তার কোনও সদুত্তর মেলেনি।

উত্তর দিনাজপুরের জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক অসিত রঞ্জন দাস বলেন, “এখন ১০৯, ১১২ তে ফোন করলেও নাবালিকা বিয়ে আটকানো সম্ভব। স্থানীয় প্রশাসনকেও বলা যেতে পারে, বিডিও-কে তো অবশ্যই। তারপরও বিয়ে যদি আটকানো না যায়, তাহলে থানায় বলি। ওই পরিবারকে কাউন্সিলিং করা হয়। তারপর বাচ্চাকে CWC তে পাঠানো হয়। তারপরও বিয়ে বন্ধ না হলে সাজা আছে। সেক্ষেত্রে যাঁরা বিয়েতে রান্না করছেন, কিংবা পুরোহিত যিনি বিয়ে দিচ্ছেন, তিনিও কিন্তু সাজার আওতায়। “