‘এফআইআর-ই নিচ্ছে না পুলিশ!’ বিচারের আর্জি জানাতে গিয়ে গ্রেফতারির হুমকি পেলেন গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার ছেলে!

TMC: রেশন আনতে গিয়ে বুলেটের পর বুলেট এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয় দিনহাটার তৃণমূল নেতা জলিল মিঞার শরীর। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে গোষ্ঠীকোন্দলের ফলেই এই হামলা। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তৃণমূল নেতা। এদিকে পুলিশ তাঁদের সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ তুললেন জলিল মিঞার পুত্র।

'এফআইআর-ই নিচ্ছে না পুলিশ!' বিচারের আর্জি জানাতে গিয়ে গ্রেফতারির হুমকি পেলেন গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার ছেলে!
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2021 | 11:17 PM

কোচবিহার: এতদিন পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে কাজ করা এবং পক্ষপাতিত্বের দাবি করে এসেছে বিরোধীরা। এবার একই অভিযোগ উঠে এল তৃণমূলের ঘর থেকেও! রেশন আনতে গিয়ে বুলেটের পর বুলেট এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয় দিনহাটার তৃণমূল নেতা জলিল মিঞার শরীর। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে গোষ্ঠীকোন্দলের ফলেই এই হামলা। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তৃণমূল নেতা। এদিকে পুলিশ তাঁদের সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ তুললেন জলিল মিঞার পুত্র।

শুক্রবার দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন জলিল মিঞা। এখন তাঁর চিকিৎসা চলছে কোচবিহারে। এদিকে বাবার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দিনহাটা থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন শাহাজান হক। কিন্তু পুলিশ তাঁকে ফিরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। শাহাজানের দাবি, সকালে গেলে বলা হয় বিকালবে আসতে, বিকালে যেতে বলা হয় রাতে এসো!

পুলিশ আসলে কোনও ভাবেই এফআইআর নিতে চাইছে না অভিযোগ তাঁর। উল্লেখ্য, তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। আর তাতেই গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা জলিল মিঞা। তাঁকে তড়িঘড়ি দিনহাটা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা অন্য হাসপাতালে রেফার করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ। যদিও আব্দুল জলিল মিঞার পরিবারের পক্ষ থেকে এদিন সন্ধ্যায় দিনহাটা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

এদিন আব্দুল জলিল মিঞার ছেলে শাহজাহান হক জানান থানা থেকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মামলা হয়েছে তাই নতুন করে অভিযোগ নেওয়া হবে না। উল্টে তাঁকেই গ্রেফতার করার হুমকি দিয়েছে পুলিশ বলে অভিযোগ ছেলের । প্রশ্ন উঠেছে মামলা শুরু হলেও গুলিবিদ্ধ ব্যাক্তির পরিবারের অভিযোগ কেন নেবে না পুলিশ? আর এ নিয়ে পুলিশের কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

গতকালকের এই ঘটনায় সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া র ঘনিষ্ট নুর আলম হোসেন , মাফুজার রহমার সহ একাধিক তৃণমূলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে । পুলিশ এদের আড়াল করতে চাইছে কিনা এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন । জলিল মিয়ার পুত্রের বক্তব্য তার বাবা কে এটাই গুলি করেছে। আরও পড়ুন: ‘বাবার বিশাল সম্পত্তি একা ভোগ করবে?’ মেয়ের বেধড়ক মারে রক্তাক্ত বৃদ্ধা মা!