Babita Sarkar: বাড়ি ভাড়া না পাওয়ায় ফের ‘আদালতের দুয়ারে’ ববিতা, তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘উনি খুঁতখুঁতে না ঝগড়াটে?’

Babita Sarkar: শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতা চাকরি পেয়েছেন মেখলিগঞ্জে পরেশ অধিকারীর বাড়ির অদূরেই ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে। তবে তাঁর বাড়ি থেকে স্কুলে দূরত্ব অনেকটাই।

Babita Sarkar: বাড়ি ভাড়া না পাওয়ায় ফের ‘আদালতের দুয়ারে’ ববিতা, তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘উনি খুঁতখুঁতে না ঝগড়াটে?’
বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন ববিতা সরকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2022 | 3:12 PM

কোচবিহার : বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন না ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। সেই ববিতা যিনি নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলা লড়াইয়ের সফল মুখ বলেই পরিচিত বর্তমানে। তাঁর করা মামলাতেই চাকরি গিয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikari) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। আর সেই জায়গায় সহ শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি পেয়েছেন ববিতা নিজে। যাঁকে সামনে রেখে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী, সেই ববিতাকেই বাড়ি ভাড়া পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। ববিতার দাবি, সে ক্ষেত্রে শাসক দলের হাত আছে। আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মামলা জেতার পর অঙ্কিতাকে বরখাস্ত করে সেই জায়গায় ববিতাকে নিয়োগ করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতা চাকরি পেয়েছেন মেখলিগঞ্জে পরেশ অধিকারীর বাড়ির অদূরেই ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে। শিক্ষকতাও করছেন তিনি। তবে তাঁর বাড়ি থেকে স্কুলে দূরত্ব অনেকটাই। তাই মেখলিগঞ্জে একটি বাড়ি ভাড়া নিতে চাইছেন তিনি। ববিতার অভিযোগ, বিভিন্ন বাড়িতে ভাড়া নেওয়ার কথাবার্তা এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত আর তাঁকে ভাড়া দিতে চাইছেন না কেউ।

উদাহরণ হিসেবে ববিতা উল্লেখ করেন, একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা হয়ে যাওয়ার পর অগ্রিম টাকা দিতে গিয়ে জানতে পারেন, বাড়িওয়ালার কাছে পুরসভার নোটিস এসেছে। ভাড়া দেওয়ার অনুমোদন নেই বলে জানানো হয়েছে তাঁদের। এছাড়াও অনেকে ববিতার ফোনই তুলছেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আদালতের দ্বারস্থও হতে চলেছেন তিনি।

এ কথা শুনে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল মহম্মদ বলেন, ‘এমন কোনও সমস্যা হয়ে থাকলে আমরা সাহায্য করতে রাজি। ভাড়ায় থাকতে চাইলে আমি নিজে সহযোগিতা করব, আমার বাড়িতেও চাইলে থাকতে পারেন ববিতা।’ ববিতার যে শিক্ষিকা হিসেবে সুনাম তৈরি হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেন আনারুল।

বিজেপি নেতা মিহির গোস্বামী এই প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মমতার সংস্কৃতিই এটা। শাসকের শাসন আজ এবাবেই প্রমাণিত হচ্ছে।’ তবে এই ইস্যুতে শাসক দলের নাম সামনে আসায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বাড়ি ভাড়া জোগাড় করার দায়িত্ব কার? স্কুলের নাকি স্কুলশিক্ষা দফতরের? জানতে হবে তিনি নিজে খুঁতখুঁতে নাকি ঝগড়াটে?’ তাঁর দাবি, বাড়িওয়ালা আর ভাড়াটের মধ্যে তো সরকার ঢোকে না। বাড়িওয়ালার অধিকার আছে কাকে ভাড়া দেবেন না আর কাকে দেবেন না। এর মধ্যে সরকার বা কোনও রাজনৈতিক দল কেন ঢুকবে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।