Cooch Behar Lynching: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু, দেহ গ্রামে ফিরতেই প্রতিবেশী বধূকে ‘গণপিটুনি’

Cooch Behar Lynching: শুক্রবার তাঁর দেহ এসে পৌঁছয় জায়গির চিলাখানা এলাকায়। মৃতদেহ বাড়ি পৌঁছতেই প্রতিবেশীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সে সময়েই ওই গৃহবধূকে মারধর করা শুরু করেন মৃত সৌমিত্রর প্রতিবেশীরা।

Cooch Behar Lynching: ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু, দেহ গ্রামে ফিরতেই প্রতিবেশী বধূকে 'গণপিটুনি'
কোচবিহারে এক বধূকে গণপিটুনির অভিযোগImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2023 | 5:48 PM

কোচবিহার: পাড়ার এক মহিলা উত্তরপ্রদেশে কাজের খোঁজ দিয়েছিলেন। সেই কথা শুনে স্ত্রীকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই তাঁর রহস্যমৃত্যু হয়। গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আর তাতে প্রতিবেশীদের সমস্ত সন্দেহ এসে পড়ে ওই মহিলার ওপরেই। সন্দেহের বশে ওই মহিলাকেই গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এক গৃহবধূকে গণপিটুনি দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। শুক্রবার তুফানগঞ্জের চিলাখানা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাইগির চিলাখানা এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম সৌমিত্র দাস (৪০)।

মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, ওই মহিলার কথামতো সৌমিত্র তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশে যান কাজের খোঁজে। সেখানে গিয়ে কোনও এক সমস্যায় পড়েন ওই যুবক। জানা গিয়েছে, গত তিন দিন আগে উত্তরপ্রদেশেই যে ঘরে তিনি থাকতেন, সেখান থেকে গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে সেখানকার পুলিশ এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করেছে।

শুক্রবার তাঁর দেহ এসে পৌঁছয় জায়গির চিলাখানা এলাকায়। মৃতদেহ বাড়ি পৌঁছতেই প্রতিবেশীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সে সময়েই ওই গৃহবধূকে মারধর করা শুরু করেন মৃত সৌমিত্রর প্রতিবেশীরা। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তুফানগঞ্জ থানার বিশাল বাহিনী। পরে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে ওই মহিলার কী যোগাযোগ কী, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলছেন তাঁরা।

অভিযুক্তের বক্তব্য, “আমরা উত্তরপ্রদেশ গিয়েছিলাম কাজে, আমাদের ২ বছর পর ওরা যায়। সেটাও মাস তিনেক হল। ওদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা ছিল। প্রতিবেশীদের আমার ছোট ছেলের সঙ্গে নাকি ওর বউয়ের সম্পর্ক, কিন্তু তা সত্য নয়।” মৃতের স্ত্রী বলেন, “ও তো তিন মাস ধরে কাজ করছিল না। শুধু মদ খেত। অশান্তি হতই। আমাকে ভীষণ মারত। কিন্তু তার ২ দিন পর কোনও অশান্তি হয়নি। আমি আসলে ওখানে কাজ সেরে দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিলাম। কাজ থেকে ফিরে এসে দেখি এই ঘটনা।”