‘প্রিন্সিপাল বলে কী কাজ করো? ওদিকে এলাকায় ঢুকতে পাই না’, বেতন না পেয়ে বিক্ষোভ কোভিড ওয়ার্ডের কর্মীদের

Covid Worker:

'প্রিন্সিপাল বলে কী কাজ করো? ওদিকে এলাকায় ঢুকতে পাই না', বেতন না পেয়ে বিক্ষোভ কোভিড ওয়ার্ডের কর্মীদের
২ মাস বেতন দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2021 | 6:47 PM

কোচবিহার: প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন তাঁরা। হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে (Covid Ward) ভর্তি রোগীদের দেখভালের দায়িত্ব তাঁদের ওপর। কিন্তু গত ২ মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। আর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল তো বলেই দিয়েছেন তাঁদের তিনি চেনেন না। বেতনের দাবিতে তাই কাজ বন্ধ করে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডের অস্থায়ী কর্মীরা।

প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ২৯ জন কর্মী দিনের পর দিন কাজ করেও তাঁদের পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও লাভ হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করলেন তাঁরা । কোভিড ওয়ার্ডে ঢোকার প্রথম দরজার সামনেই তাঁরা এই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।

অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, গত দু’ মাস থেকে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। তাই সংসার চালাতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তাই কোভিড ওয়ার্ডের কাজ বন্ধ করে অবস্থানের বিক্ষোভে নেমেছেন। এদিকে কোভিড ওয়ার্ডের কাজ বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে রোগী পরিষেবা।

এদিন অস্থায়ী কর্মী সুশান্ত চন্দ্র দেব বলেন, “আমরা দু’মাস ধরে বেতন পাচ্ছি না। প্রিন্সিপাল এবং মেডিক্যাল সুপার ও ভাইস প্রিন্সিপাল- সহ ঠিকাদারের কাছে আমরা গিয়েছিলাম। কোনও উত্তর মেলেনি।” তিনি আরও জানান, প্রিন্সিপাল তাঁদের চিনতে অস্বীকার করেছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রত্যেক মাসেই এভাবে একরকম আন্দোলন করেই বেতন নিতে হয়। এদিকে কোভিড ওয়ার্ডে কাজ করেন বলে এলাকার মানুষ তাঁদের ঢুকতে বাধা দেয়। হাসপাতাল চত্বরেই দিনের অধিকাংশ সময় কাটে। কিন্তু এত পরিশ্রম আর ত্যাগের পরও পারিশ্রমিক মিলছে না। সংসারের হাঁড়ি চড়ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনের রাস্তা বেছে নিয়েছেন। তাঁরা চাইছেন কাজ সুনিশ্চিত করা হোক। আর  প্রত্যেক মাসের ১০ তারিখের মধ্যে তাঁদের বেতন দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রিুতি করা হোক। নইলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

এদিকে এ বিষয়ে এমএসডিপি রাজীব প্রসাদ স্বীকার করে নেন যে, অস্থায়ী কর্মীদের দু’মাসের বেতন বাকি রয়েছে। তাঁর কথায়, “সব মেডিকেল কলেজের মতোই আমাদেরও নিয়ম মেনেই বিল পাশ হয়। কিন্তু ওঁদের বিল জমা দিতে দেরি করেছে। প্রিন্সিপাল ছুটিতে ছিলেন বলেই দেরি হয়েছে। আমরা সরাসরি ওঁদের হাতে বেতন দিই না  ঠিকাদার দের মাধ্যমেই ওরা বেতন পায়। ঠিকাদার দের সাথে চুক্তি রয়েছে দু মাসের বেতন তারা প্রদান করবেন তারপর যদি না চালাতে পারেন, তিন মাসের সময় তখন সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করব আমরা।” l তিনি আশ্বাস দেন আজকের মধ্যেই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ও হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: অরবিন্দকে খুন করেছিল গুঞ্জনরাই, ১৬ বছর বাদে দোষী সাব্যস্ত রোমা ঝাওয়ার অপহরণ-কাণ্ডের মূল পাণ্ডা