Nisith Pramanik: ‘ভিক্ষা, অনুদান নয়! কোচবিহার চায় সম্মান’, গ্রেটার নেতাকে পাশে নিয়ে মমতাকে কী বার্তা দিলেন নিশীথ?

Nisith Pramanik in Coochbehar: সাংসদের বক্তব্য, "কোচবিহারবাসী কারো ভিক্ষা চায় না, অনুদান চায় না। কোচবিহারবাসী সম্মান চায়।  শত্রুকে বড় আসন দিয়েছি । তার মানে এই না যা খুশি তাই হবে।"

Nisith Pramanik: 'ভিক্ষা, অনুদান নয়! কোচবিহার চায় সম্মান', গ্রেটার নেতাকে পাশে নিয়ে মমতাকে কী বার্তা দিলেন নিশীথ?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজ (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2022 | 7:11 PM

কোচবিহার : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) কোচবিহারের জিসিপিএ (Greater Coochbehar Peoples Association) মঞ্চ ছেড়ে চলে যাবার পর সেই মঞ্চ থেকে ফের এক দাবি উঠল পৃথক কোচবিহার রাজ্যের । শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেন বর্মণ তাঁর বক্তব্যে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলে ধরেন। সেই সময় মঞ্চে বসে ছিলেন জিসিপিএর নেতা অনন্ত রায় এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Union Minister Nisith Pramanik)। মঞ্চ থেকে বিজেপি সাংসদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জোরালো আক্রমণ শানালেন। সাংসদের বক্তব্য, “কোচবিহারবাসী কারো ভিক্ষা চায় না, অনুদান চায় না। কোচবিহারবাসী সম্মান চায়।  শত্রুকে বড় আসন দিয়েছি । তার মানে এই না যা খুশি তাই হবে।” এর পাশাপাশি চিলা রায়ের মূর্তির জন্য ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজের অনুগামীদের নিয়ে তৈরি স্বেচ্ছাসেবী দল ‘নারায়ণী সেনা’র জন্য বিশেষ কর্মসংস্থানের কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন তৈরি করে তাদের সিভিক ভলান্টিয়ার সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগের কথা বলেছিলেন মমতা। কিন্তু মমতার এই ঘোষণার পর মোটেই খুশি নন স্বেচ্ছাসেবী দলের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা এই কাজ চান না। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গলাতেও সেই একই সুর শোনা গেল। বিজেপি সাংসদ বলেন, “কোচবিহারবাসী জেগে ওঠো, আজ আমার মাটিতে, আমার কথা বলার অধিকার নেই। আমার অধিকার পাওয়ার কোনও অধিকার নেই।” রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “আমার প্রত্যেকটা রক্তবিন্দু থেকে একটাই কথা ভেসে আসবে – কোচবিহারবাসীর মুক্তি।”

পৃথক কোচবিহারের দাবি আজকের নয়। অতীতেও একাধিকবার এই দাবি উঠে এসেছে। জিসিপিএ নেতা অনন্ত মহারাজকে একাধিকবার এই নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। এমনকী বিগত বিধানসভা নির্বাচনে গ্রেটার সমর্থন করেছিল বিজেপিকেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত ছুটে এসেছিলেন গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে। এবার পুরভোটের আগে কোচবিহারে গ্রেটার নেতার সঙ্গে একমঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।  কিন্তু মমতার সেই উপস্থিতিতে যাতে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কের উপর প্রভাব ফেলতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে কোনও খামতি রাখলেন না নিশীথ প্রামাণিক। কোচবিহারবাসীর হয়ে গলা ফাঁটিয়ে বলে গেলেন, তাঁরা কারো ভিক্ষা চান না, কারও অনুদান চান না। কোচবিহারবাসী শুধু সম্মান চান।