Udayan Guha: ‘চাকরির সুপারিশ করেছি, দিইনি’, ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন উদয়ন!
Udayan Guha: এমনকী নিজেও চাকরির সুপারিশ করেছেন তাও জানান। এই বক্তব্যের পরই শুরু হয় জল্পনা। আর সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এবার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রীর সাফাই, "বাম আমলে আমি চাকরির জন্যে সুপারিশ করেছি। চাকরি তো দিইনি। এতে যদি আমি দোষী হই তাহলে আমার শাস্তি হোক।"
কোচবিহার: শাসক দলের নজরে এবার বামফ্রন্ট। নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটায় বিদ্ধ হওয়ার পরই ‘অল আউট’ আক্রমণ করছেন তাঁরা। তৃণমূলের মন্ত্রী থেকে শুরু করে জেলার ছোট-বড় নেতাদের মুখে এখন একটাই বুলি, ‘নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বামেদের সময়ও হয়েছিল’। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত ইস্যুতে মন্তব্য করতে গিয়ে খোদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ নিজের বাবা তথা প্রাক্তন বাম মন্ত্রী কমল গুহর প্রসঙ্গও টেনে আনেন। স্পষ্ট বলেন, “আমার বাবাও চাকরি দিয়েছেন।” এমনকী নিজেও চাকরির সুপারিশ করেছেন তাও জানান। এই বক্তব্যের পরই শুরু হয় জল্পনা। আর সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এবার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রীর সাফাই, “বাম আমলে আমি চাকরির জন্যে সুপারিশ করেছি। চাকরি তো দিইনি। এতে যদি আমি দোষী হই তাহলে আমার শাস্তি হোক।”
সম্প্রতি উদয়ন বলেন, “সেই সময় আমি ফরওয়ার্ড ব্লক করতাম। তখন চাকরিটা ভাগ হত। ১৯৭৭ সালের পর থেকে বাম জামানায় যে যে চাকরি হয়েছে তাতে কোটা পদ্ধতি ছিল। বড় শরিক সিপিএম পেত ৬০ শতাংশ। ফরওয়ার্ড ব্লক পেত ৩৫ শতাংশ। বাকি ৫ শতাংশ পেত আরএসপি। ফলে গোটা প্রক্রিয়া যে দলীয় কার্যালয় থেকেই হত। আমিও দিয়েছি। বিভিন্ন দফতরে নাম সুপারিশ করেছি। সেই দফতরে পরীক্ষাও হয়েছি। কিন্তু তারপরও আমরা যাঁদের নাম সুপারিশ করেছি তাঁদের চাকরি হয়েছে।” উদয়নের এই বক্তব্যের পরই রাজনৈতিক চাপানোতর বাড়তে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় থেকে তাঁর প্রতিপক্ষ দলগুলি তীর্যক মন্তব্য করতে শুরু করেন। পরিবারেও কোথাও গিয়ে চাপের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তাঁরই ভাগ্নি। উদয়ন গুহর ভাগ্নি উজ্জয়িনী রায় বলেন, “একটা ফাইলও বের করতে পারবেন যেখানে কমল গুহ দুর্নীতি করে চাকরি দিয়েছেন?” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই ঘটনার পরই উদয়ন কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান।
এরপর রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, “থার্ড ডিভিশনে পাশ করে চাকরি কীভাবে? আমার কারোর চাকরি খাওয়ার ইচ্ছা নেই। বা কারোর পয়সা ফেরত নেওয়া অথবা পেনশন আটকানোর ইচ্ছা নেই। তবে ওই কমরেড সুজন চক্রবর্তী, কমরেড মহম্মদ সেলিম যাঁরা হইহই করছেন তাঁদের কাছে জানতে চাইছি দুর্নীতির মানেটা কী? আমি শুধু চাকরির সুপারিশ করেছি। কাউকে চাকরি দেওয়ার অধিকার আমার ছিল না।”