BJP: তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বিষপান বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর, বিস্ফোরক অভিযোগ স্বামীর…

Coochbehar News: যদিও তৃণমূলের দাবি, 'ব্যক্তিগত ক্যাচাল'-এর জেরে এই ঘটনা।

BJP: তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বিষপান বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর, বিস্ফোরক অভিযোগ স্বামীর...
বিষপান বিজেপি কর্মীর স্ত্রীর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2022 | 12:04 AM

কোচবিহার: এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট মেটার পর থেকেই ঘরছাড়া ছিলেন। ঘরে ফিরতেই ফের হামলার শিকার বলে অভিযোগ তুললেন এক বিজেপি নেতা। এরপরই এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির সামনে ওই বিজেপি নেতার স্ত্রী গিয়ে বিষপান করেন বলে অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে তুমুল হইচই শুরু হয় এলাকায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই মহিলাকে। হাসপাতালে যান বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা। যদিও তৃণমূলের দাবি, ‘ব্যক্তিগত ক্যাচাল’-এর জেরে এই ঘটনা।

বিজেপি কর্মী রাখাল দাস। বক্সিরহাট থানা এলাকার তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের রামপুর ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা তিনি। তাঁর দাবি, বিধানসভা ভোটের পর থেকে তৃণমূলের অত্যাচারে ঘর ছেড়ে অসমে গিয়ে থাকছিলেন। শুক্রবারই বাড়িতে ফেরেন। অভিযোগ, এরপরই হামলার শিকার হন তিনি। এই ঘটনায় রাখালের স্ত্রী রুমা দাস ভয় পেয়ে যান বলে জানান তাঁর পরিবারের লোকেরা। এরপরই বিষপান করেন।

রাখাল দাসের কথায়, “তৃণমূলের লোকেরা হামলা করেছে বিকেলে। আজেবাজে কথা বলছিল। বউ তা সহ্য করতে পারেনি। এরপরই ও ওই তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বিষ খেয়ে নেয়। ভোটের পর থেকেই এসব করছে। প্রশাসনকে জানিয়েছি। বলছে অভিযোগ জানাও, তারপর দেখব। আসলে আমি বিজেপি করি। তাই এই অবস্থা। নিজের বাড়িতেই থাকতে পারি না।”

এলাকার লোকজনই রাখালের স্ত্রীকে উদ্ধার করে রামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়। এই ঘটনায় বক্সিরহাট থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বিধায়ক মালতী রাভা বলেন, “তৃণমূলের লোকেরাই তো প্ররোচিত করেছে বিষ খাওয়ার জন্য। বিজেপি করলে বাঁচতে দিচ্ছে না। নিজেদের বাড়িতে থাকতে পারছে না। বউটাকে জঘন্য ভাষায় কথা বলেছে। বিজেপি করে বলে স্বামী ঘরে ফিরতে পারে না। সেই যন্ত্রণায় মেয়েটা নিজের জীবন শেষ করতে গিয়েছিল।”

তবে রামপুর-২ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তথা ব্লক সহ-সভাপতি নিরঞ্জন সরকারের বক্তব্য, “৪৮ নম্বর বুথে রাখাল দাসের বউ তাঁর প্রতিবেশির সঙ্গে ব্যক্তিগত ক্যাচালে জড়ান। কেস করব বলে পুলিশকে ফোন করেন। পরে ওই রাখাল দাসের বউ আমাদের এক বুথ সভাপতিকে ইচ্ছে করে ফাঁসানোর জন্য তাঁর বাড়িতে যান। কৃষি জমিতে চাষের যে রাসায়নিক দেওয়া হয়, সেই ওষুধ খেয়ে ওই বাড়িতে শুয়ে পড়েন। আমাদের বুথ সভাপতিকে ফাঁসানোর চেষ্টা এটা। এসব ভিত্তিহীন, মিথ্যা অভিযোগ।”