Ananta Maharaj: গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ সুকান্ত মজুমদারের, জোরাল হচ্ছে জল্পনা
Coochbehar News: সম্প্রতি অনন্ত রায়ের কোচবিহার 'রাজ্য' কিংবা 'কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল' হবে সংক্রান্ত বক্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার এদিন জানান, এটা ওনার দাবি।
কোচবিহার: দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অনন্ত রায় মহারাজের বাড়িতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার রাতে অনন্ত মহারাজের বাড়িতে যান সুকান্ত। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, একাধিক বিজেপি বিধায়কের উপস্থিতিতে এক সভা থেকে অনন্ত রায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, কোচবিহার ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ হতে চলেছে। এরমধ্যে বিজেপির রাজ্য সভাপতির অনন্ত মহারাজের বাড়িতে হাজির হওয়ায় নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা।
অনন্ত রায় গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের অন্যতম মুখ। তাঁদের একটাই দাবি, কোচবিহারকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা করতে হবে। এই জেলায় বসবাসকারীদের একটা বড় অংশ রাজবংশী সম্প্রদায়ের। রাজবংশীদের আবার একটা বড় অংশে অনন্ত রায়ের প্রভাব রয়েছে। সুতরাং অনন্ত রায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির সমীকরণের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে ভোটবাক্সে কাদের পাল্লা ভারী হবে।
কিছুদিন আগে দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন বা জিসিপিএ (GCPA)-র অনন্ত-গোষ্ঠীর ডাকে এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চে বক্তব্যও রাখেন তিনি। এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে দেখা গেল অনন্ত রায়ের বাড়িতে। যদিও সেই সাক্ষাৎ পর্ব শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ওনার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা ছিল। অনেকদিন দেখা হয়নি। দ্বিতীয় কথা, উনিও আসতে বলেছিলেন। উনি ওনাদের আন্দোলনের যে ইতিহাস, কংগ্রেস আমল থেকে শুরু করে, যখন শিণ্ডেসাহেব আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, আজ অবধি কী আন্দোলন হয়েছে, কেন্দ্রের কাছে ওনারা কী দাবি জানিয়েছেন, সবিস্তারে জানালেন।”
সম্প্রতি অনন্ত রায়ের কোচবিহার ‘রাজ্য’ কিংবা ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ হবে সংক্রান্ত বক্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার এদিন জানান, এটা ওনার দাবি। কেন্দ্র সরকার এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তার কোনও জায়গা রয়েছে কি না তা দেখবে। অন্যদিকে এদিন রাজ্যের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান সুকান্ত মজুমদার। অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, “আমি ১০ বছর বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পড়িয়েছি। আমি আমার মেয়ের নামে এত টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করতে পারিনি। আর বীরভূমের নেতা মাছের ব্যবসা করতে করতে মেয়ের নামে ফিক্সড ডিপোজিট ১৭ কোটি টাকা করে ফেললেন। বাড়ির পাশে মেয়েকে চাকরি দিয়েছেন। হেঁটে যেতে সময় লাগে তিন মিনিট। তাও কষ্ট করে যেতে পারেন না। হেডমাস্টারমশাই নিজে আসেন খাতা নিয়ে এসে সই করিয়ে নিয়ে যায়। “