Sukanta Majumder: পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবির মধ্যেই সুকান্ত-অনন্ত সাক্ষাৎ, কোচবিহারের মাটিতে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ
Sukanta Majumder: প্রসঙ্গত পৃথক রাজ্যের দাবিতে এর আগেও সোচ্চার হয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। এবার অনন্তরায়ের সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সাক্ষাৎ সেই বিতর্ক নতুন করে উস্কে দিয়েছে।
কোচবিহার: পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে বিজেপির কী অবস্থান, তা স্পষ্ট করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অনন্তরায় মহারাজের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে সাক্ষাতের পর সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির ঘোষিত নীতি হচ্ছে, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যেভাবে পশ্চিমবঙ্গকে রেখে গিয়েছেন, সেই ভাবে পশ্চিমবঙ্গকে দেখে যেতে চাই। রাখতে চাই।” তবে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন তিনি। স্পষ্ট বলেছেন, “এটা অস্বীকার করব না উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের অনুন্নয়নের জন্য এই ধরনের দাবি রয়েছে। তাঁরা সেই দাবি মাঝেমধ্যেই করেন। আমাদের যাঁরা বিধায়ক রয়েছেন, তাঁদের কর্তব্য, মানুষকে বোঝানো, মানুষের দাবিকেও সামনে তুলে ধরা।”
প্রসঙ্গত পৃথক রাজ্যের দাবিতে এর আগেও সোচ্চার হয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। এবার অনন্তরায়ের সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সাক্ষাৎ সেই বিতর্ক নতুন করে উস্কে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব এখনও প্রকাশ্যে সম্মতি জানায়নি। ২৮ অগস্ট কোচবিহারের ‘ভারতভুক্তি’ দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চেই বিজেপি দুই বিধায়ক, সুকুমার রায় এবং মালতি রাভা রায় স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের জন্যে যে দাবি উঠছে যে উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য করতে হবে। প্রতিবাদে অবশ্য কোচবিহারে মিছিল বার করেছে তৃণমূল।
সেই পরিস্থিতিতে সুকান্ত-অনন্ত সাক্ষাৎ রাজনীতিতে যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি অনন্ত রায় কোচবিহার কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। সে প্রসঙ্গে অবশ্য সুকান্ত বলেছেন, “সেটা তাঁর দাবি। সরকারের এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার কোনও স্কোপ রয়েছে কিনা, দেখবে।” তবে সামগ্রিক এই প্রেক্ষাপটে এই সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশ্লেষকদের।