Al Qaeda Terrorist: অ্যাপের মাধ্যমে চলত যোগাযোগ, শাসনের পর কোচবিহারে খোঁজ ২ আলকায়দার জঙ্গির

কোচবিহার: আলকায়দা (আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টে) মডিউলের খোঁজ মিলল কোচবিহারে। রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ট ফোর্স বা এসটিএফ-এর (STF)  গোপন অভিযানের জেরে এই খোঁজ মিলেছে। কয়েকদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থেকে রাকিব নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। সেই ব্যক্তিকে জেরা করেই এই মডিউলের খোঁজ পান গোয়েন্দারা।

এসটিএফ সূত্রে খবর, রাকিবকে জেরার পর আরও দুই ব্যক্তির সন্ধান পান গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে একজনের খোঁজ মেলে কোচবিহারের দিনহাটা থানার অন্তর্গত সিতাইয়ের শিঙ্গিমারি থেকে। অপরজনকেও পাওয়া যায় দিনহাটারই সিতাইয়ের শ্রীলঙ্কা থেকে। ধৃতরা আলকায়দা সংগঠনের সদস্য বলে খবর।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের একজনের নাম মৌজ ওরফে সইফউদ্দিন ও অন্যজন হলেন হাসান ওরফে নূর কাসিম। এসটিএফ-এর গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে রাকিবই এই দু’জনকে সিতাইয়ে নিয়ে আসে। ২০১৭ সাল থেকে তারা সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাস করছে। স্থানীয় কিছু মাদ্রাসায় এরা পড়াশোনা করাত বলেও জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি মসজিদে ইমামের কাজ করত বলে খবর মিলেছে। জঙ্গি সংগঠন চালানোর উদ্দেশে অ্যাপস বানিয়ে তার মাধ্যমে এরা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সইফউদ্দিন এবং নূর দু’জনেই বিবাহিত। সিতাই এলাকারই দুই মহিলাকে তারা বিয়ে করে। এদের মধ্যে একজনের বাপের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায় ও অপরজনের বাড়ি অসমে। তবে এসটিএফ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, দু’জনই বাংলাদেশের বাসিন্দা।

সূত্রের খবর, দু’দিন আগে অত্যন্ত গোপনে এসটিএফ এই অভিযান চালায়। যদিও, এই দু’জনই বর্তমানে পলাতক। তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত চলেছে।

বস্তুত, উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থেকে গ্রেফতার হয় দুই জঙ্গি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ট ফোর্সের গোয়েন্দারা তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম আব্দুর রকিব সরকার এবং কাজি আহ সান উল্লাহ। ধৃতরা প্রত্যেকেই আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল বলে জানা যায়। সূত্রের খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় নাশকতা মূলক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য পুলিশের একাধিক থানায় এই দু’জনের নামে লিখিত অভিযোগ রয়েছে।