Terrorist: জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে নিকেশ জঙ্গিদের ৬০ শতাংশই পাকিস্তানি, বড় তথ্য তুলে ধরলেন সেনাপ্রধান

Terrorist: জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সংবাদমাধ্যমকে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানান, সেখানকার পরিস্থিতি সংবেদনশীল হলেও স্থিতিশীল। এরপরই পাকিস্তানকে নিশানা করেন তিনি।

Terrorist: জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে নিকেশ জঙ্গিদের ৬০ শতাংশই পাকিস্তানি, বড় তথ্য তুলে ধরলেন সেনাপ্রধান
সীমান্তে সজাগ জওয়ানরা (ফাইল ফোটো)
Follow Us:
| Updated on: Jan 13, 2025 | 5:18 PM

কাশ্মীর: কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশে সাহায্য করে পাকিস্তান। দীর্ঘদিন ধরেই একথা বলে চলেছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জেও এই নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। এমনকি, কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসার আগে সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে পাকিস্তানকে। এবার তথ্য দিয়ে সেনাপ্রধান জানালেন, ২০২৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে যত জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছে, তার ৬০ শতাংশ পাকিস্তানের নাগরিক।

জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সংবাদমাধ্যমকে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী জানান, সেখানকার পরিস্থিতি সংবেদনশীল হলেও স্থিতিশীল। এরপরই পাকিস্তানকে নিশানা করে তিনি বলেন, “গতবছর জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে নিহত জঙ্গিদের ৬০ শতাংশ পাকিস্তানের নাগরিক। আর এখন জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্তদের ৮০ শতাংশ পাকিস্তানের।” জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটনে নজর দিয়েছে কেন্দ্র। সেনাপ্রধান বলেন, ভারত  যখন ট্যুরিজমের দিকে নজর দিচ্ছে, তখনও জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে। এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরুর আগে সীমান্তে সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে ইসলামাবাদকে। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পাকিস্তানি জঙ্গিদের জড়িত থাকা নিয়ে, এবার তথ্য তুলে ধরলেন সেনাপ্রধান।

পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে প্রকৃত সীমান্তরেখায় সমস্যা কেটে গিয়েছে বলে জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, “গত বছরের অক্টোবরে ডেপসাং ও দেমচকে পরিস্থিতির সমাধান হয়েছে। এই দুটি সাব সেক্টরে পেট্রোলিং শুরু হয়েছে।”

এই খবরটিও পড়ুন

মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “মণিপুরে হিংসার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু, সেখানে শান্তি ফেরাতে তৎপর নিরাপত্তারক্ষীরা। মায়ানমার সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে ফেন্সিংয়ের কাজ চলছে।”