Ananta Maharaj: খুব তাড়াতাড়িই উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে, নিশীথ-সাক্ষাতের পর দাবি অনন্ত মহারাজের
Coochbehar: সাক্ষাতের পর নিশীথ প্রামাণিক বলেন, অনন্ত মহারাজের সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। উনি মাঝেমধ্যেই আসেন, খোঁজ খবর রাখেন।

কোচবিহার: উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল হচ্ছেই, জানালেন দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অনন্ত রায় (Ananta Roy Maharaj)। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে বৈঠক শেষে এই কথা বলেন তিনি। খুব শীঘ্রই কেন্দ্র তা করতে চলেছে বলেও এদিন দাবি করেন অনন্ত রায় মহারাজ।
অনন্ত রায় মহারাজ বলেন, “মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলাম। অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা হল। যেটা হবে সেটা দেখবেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে তো নতুন করে বলার কিছুই নেই। নতুন করে আলোচনারও তো কিছু নেই। আমার তো বিশ্বাস খুব তাড়াতাড়িই হচ্ছে।” সম্প্রতি কেএলও প্রধান জীবন সিং পৃথক রাজ্য নিয়ে সরব হন। তাঁকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে এ ক্ষেত্রে বলেও শোনা যাচ্ছিল। যদিও এ নিয়ে অনন্ত মহারাজের পর্যবেক্ষণ, কবে কে কী করেছে আজ তার কোনও কিছুই নেই। জীবন সিং আজ প্রাসঙ্গিকও নন।
অন্যদিকে এই বৈঠকের পর নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “অনন্ত মহারাজের সঙ্গে আমার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। উনি মাঝেমধ্যেই আসেন, খোঁজ খবর রাখেন। আমিও যাই ওনার ওখানে। স্বাভাবিকভাবে খুব আন্তরিক হৃদ্যতার সম্পর্ক রয়েছে। সেই জন্য এসেছেন।” তবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে কোচবিহার বা নয়া রাজ্যের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নিশীথের জবাব ছিল সংক্ষিপ্ত, ‘নেক্সট কোয়েশচন’।
অনন্ত রায় গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের অন্যতম মুখ। এই আন্দোলন একটাই দাবিকে সামনে রেখে, তা হল আলাদা রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে কোচবিহারকে। ভোট এলেই এই দাবি নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চাও। কোচবিহারে বসবাসকারীদের একটা বড় অংশ রাজবংশী সম্প্রদায়ের। রাজবংশীদের আবার একটা বড় অংশে অনন্ত রায়ের প্রভাব অত্যন্ত বেশি। অর্থাৎ অনন্ত রায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির সমীকরণের উপর অনেকাংশেই নির্ভর করে ভোটবাক্সে কাদের পাল্লা ভারী হবে।
এর আগে দ্য গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন বা জিসিপিএর অনন্ত-গোষ্ঠীর ডাকে এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই মঞ্চে বক্তব্যও রাখেন তিনি। তার পর পরই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে দেখা যায় অনন্ত রায় মহারাজের বাড়িতে। এবার নিশীথ প্রামাণিকের বাড়িতে অনন্ত।





