Upper Primary: ১৭ লাখির ‘নিয়োগ কেলেঙ্কারি’তে আরও দুই শিক্ষকের নাম, বাড়িতে পোস্টার দিল ‘প্রতারিত বেকারবৃন্দ’

Coochbehar: স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, বাড়িটি তাঁর মামার বাড়ি ছিল। পরে পঙ্কজ বর্মন তা কেনেন। পঙ্কজ ও তাঁর স্ত্রীর নামে বাড়িটি কিনেছিলেন। বাড়ির সঙ্গে ফাঁকা জমিও কেনেন।

Upper Primary: ১৭ লাখির 'নিয়োগ কেলেঙ্কারি'তে আরও দুই শিক্ষকের নাম, বাড়িতে পোস্টার দিল 'প্রতারিত বেকারবৃন্দ'
ধৃত পঙ্কজ বর্মন বাঁদিকে। ডানদিকে সেই পোস্টার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 7:19 AM

কোচবিহার: ১৭ লক্ষ টাকার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে কিছুদিন আগেই গ্রেফতার হন শিলিগুড়ির এক শিক্ষক পঙ্কজ বর্মন (Teacher Arrest)। এবার সেই শিক্ষকের কোচবিহারের বাড়িতে পড়ল পোস্টার। যদিও স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এই বাড়ি ওই শিক্ষক সম্প্রতি বিক্রি করে দেন। তবে এ বাড়ি যে বিক্রি হয়েছে, এলাকার লোকজনের কাছেও অজানা ছিল। সোমবার রাতে একদল যুবক ওই বাড়িতে পোস্টার সাঁটাতে এলে বিষয়টি সামনে আসে। শিক্ষক নিয়োগের জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগে শিলিগুড়ি থেকে সম্প্রতি গ্রেফতার হন শিক্ষক পঙ্কজ বর্মন। কোচবিহারের বক্সিরহাট এলাকার বাসিন্দা পঙ্কজ এই টাকা নেন বলে অভিযোগ ওঠে। সেই পঙ্কজেরই কোচবিহারের দক্ষিণ খাগরাবাড়ি এলাকায় একটি বাড়ি ছিল। যা সম্প্রতি তিনি আরও দুই শিক্ষকের কাছেই বিক্রি করেন বলে স্থানীয়রা জানান। সোমবার সেই বাড়িতেই পড়ে পোস্টার। জানা গিয়েছে, বাড়ির বর্তমান দুই মালিকও শিক্ষক। তাঁরাও আবার চাকরি দেওয়ার নামে বাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন। এদিন যে পোস্টারটি দেওয়া হয়, তাতে লেখা হয়েছে, এই বাড়ি যেন কেউ না কেনেন। এই বাড়ির মালিকরা উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন।

কোচবিহারের মাথাভাঙা এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা মালাকার নামে এক চাকরি প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে জলপাইগুড়ির আমবাড়ি হাইস্কুলের শিক্ষক সন্তোষ বর্মন গ্রেফতার হন। আর এই সন্তোষকে জেরা করেই খোঁজ মেলে পঙ্কজের। বাপ্পার অভিযোগ, ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের টেট পাশ করেন তিনি। তবে বহুদিন কেটে গেলেও চাকরি না পাওয়ায় সন্তোষ বর্মনকে ১৭ লক্ষ টাকা দেন। কিন্তু এরইমধ্যে আদালতের নির্দেশে প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ায় বাপ্পার চাকরিও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এরপরই সন্তোষ বর্মনের নামে থানায় অভিযোগ করেন। আর এই সন্তোষের সূত্র ধরেই খোঁজ মেলে শিলিগুড়ির বরদাকান্ত স্কুলের সংস্কৃতের শিক্ষক পঙ্কজের। গ্রেফতার হন তিনিও।

সেই পঙ্কজের কোচবিহারের দক্ষিণ খাগরাবাড়ি এলাকার একটি পুরনো বাড়িতে এদিন পোস্টার দেয় ‘প্রতারিত বেকার বৃন্দ’। বাড়িটির পাশেই বাড়ি অরুণাভ বর্ধনের। তিনি বলেন, “এটা পঙ্কজ বর্মনের বাড়ি জানতাম। ওরা তো এখানে থাকত না। এরমধ্যে কতগুলো ছেলে এসে দেখি পোস্টার লাগাচ্ছে। ওদের জিজ্ঞাসা করায় বলল, পঙ্কজের কাছ থেকে নাকি দু’জন এই বাড়ি নিয়েছেন। তাঁরাও নাকি আবার ছেলেগুলোর কাছ থেকে শিক্ষক নিয়োগের নামে টাকা নিয়েছেন। দু’জনই নাকি স্কুলে পড়ান বলল। বলছিল ১৮-২০ লাখ করে প্রায় ২০০-২৫০ লোকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।”

অরুণাভ বর্ধন জানান, এই বাড়ি আগে তাঁর মামার বাড়ি ছিল। পরে পঙ্কজ বর্মন তা কেনেন। পঙ্কজ ও তাঁর স্ত্রীর নামে বাড়িটি কিনেছিলেন। বাড়ির সঙ্গে ফাঁকা জমিও কেনেন। অরুণাভ বলেন, “এখন তো শুনছি পঙ্কজ বর্মন নাকি শীতলখুচির দুই স্কুলশিক্ষককে বাড়িটি বেচে দিয়েছেন।” এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শোরগোল এলাকায়। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রের একাধিক ব্যক্তিত্ব জেলে। এরমধ্যে আবার একের পর এক শিক্ষকেরও নাম জড়াতে শুরু করেছে।