Balurghat: চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত, পরিবারকে আর্থিক দুর্দশা থেকে বাঁচাতে চরম সিদ্ধান্ত ক্ষৌরকর্মীর

Balurghat: মৃত ওই ক্ষৌরকর্মীর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গি বাদুরতলা এলাকায়। সোমবার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে 'আত্মঘাতী' হন ওই ব্যক্তি।

Balurghat: চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত, পরিবারকে আর্থিক দুর্দশা থেকে বাঁচাতে চরম সিদ্ধান্ত ক্ষৌরকর্মীর
বালুরঘাটের ক্ষৌরকর্মীর মৃত্যু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2022 | 5:09 PM

বালুরঘাট : দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন চিকিৎসা জন্য। কিন্তু কোনওভাবেই অসুখ আর সারেনি। এদিকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে ফুরিয়ে এসেছে জমানো অর্থ। সঞ্চয় বলতেও সেভাবে বিশেষ কিছু ছিল না পেশায় ক্ষৌরকর্মী দিলীপ শীল। বছর পঞ্চাশের প্রৌঢ়ের কোনওভাবেই আর চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছিল না। এদিকে দিনের পর দিন ব্যাথা-বেদনা বেড়েই চলছিল। অবশেষে মানসিক অবসাদে এবং পরিবারকে আর্থিক সমস্যা থেকে বাঁচাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি। মৃত ওই ক্ষৌরকর্মীর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গি বাদুরতলা এলাকায়। সোমবার সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মঘাতী’ হন ওই ব্যক্তি।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই খবর দেওয়া হয় বালুঘাট থানায়। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পরিবারের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। অর্শ্বের সমস্যায় ভুগছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাও করিয়েছেন। সাময়িকভাবে ব্যাথা-জ্বালা-যন্ত্রণা কমলেও, রোগ নির্মূল হয়নি। এদিকে সামান্য ক্ষৌরকর্মী হয়ে চিকিৎসার খরচও আর বহন করতে পারছিলেন না প্রৌঢ়।

সংসার চালাতে ওই ক্ষৌরকর্মীর স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। এই অবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন দিলীপ বাবু। সেই থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সোমবার সকালে মেয়ে পড়তে গিয়েছিল। স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই সময় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন দিলীপ৷ এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

এই বিষয়ে মৃতের প্রতিবেশী লিটন মহন্ত বলেন, “দিলীপ শীল দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা করেও সুস্থ হননি। অবশেষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।” চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ না হওয়ায় এবং যে ভাবে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, সেই পরিস্থিতি থেকে পরিবারকে নিস্তার দিতেই প্রৌঢ় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই মনে করছেন প্রতিবেশীদের একাংশও।