Private Tutors: নির্দেশিকার তোয়াক্কা না করেই টিউশন, ৯১ জন সরকারি স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি বালুরঘাটে

Balurghat: নিয়ম অনুযায়ী সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা আলাদা করে টিউশন পড়াতে পারবেন না। কিন্তু সেই সবের তোয়াক্কা না করেই নাকি আড়ালে আবডালে টিউশন পড়াচ্ছে অনেকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

Private Tutors: নির্দেশিকার তোয়াক্কা না করেই টিউশন, ৯১ জন সরকারি স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি বালুরঘাটে
গৃহশিক্ষকদের প্রতিবাদ মিছিল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2022 | 9:23 PM

বালুরঘাট : সরকারি নির্দেশিকাকে থোড়াই কেয়ার। নিয়ম অনুযায়ী সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা আলাদা করে টিউশন পড়াতে পারবেন না। কিন্তু সেই সবের তোয়াক্কা না করেই নাকি আড়ালে আবডালে টিউশন পড়াচ্ছে অনেকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। বিষয়টি নিয়ে বুধবার জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাল গৃহশিক্ষকদের সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনকে এর আগে একাধিকবার বলা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার তাঁরা মোট ৯১ জন হাইস্কুল শিক্ষকের নাম জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জমা করেন। অভিযোগ ওই তালিকায় থাকা ৯১ জন সরকারি শিক্ষক গোপনে টিউশন পড়াচ্ছেন।

সরকারি স্কুল শিক্ষকদের আড়ালে আবডালে টিউশন পড়ানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার একটি মিছিলও করেন পশ্চিবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। বালুরঘাট হাসপাতাল চত্বরে ওই মিছিলের পর গৃহশিক্ষকরা যান জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-এর দফতরে। সেখানে গিয়ে তাঁরা লিখিতভাবে ৯১ জন সরকারি স্কুল শিক্ষকের নামের তালিকা সহ যাবতীয় তথ্য জমা দেন। তাঁদের বক্তব্য, দাবি মানা না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার কেবল হাই স্কুলের শিক্ষকদের নামের তালিকা জমা দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের নামের তালিকাও জমা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির সহ সভাপতি মাধব সাহা এদিন বলেন, “যাঁরা সরকারি নির্দেশিকা মানছেন না, ছাত্রদের নিয়ে লুকোচুরি খেলে প্রাইভেট টিউশন করছেন, তাঁদের নামের তালিকা আমরা স্মারকলিপি হিসেবে ডিআই-এর কাছে জমা দিয়েছি। আমরা আপাতত ৯১ জন শিক্ষকের নামের তালিকা তুলে দিচ্ছি। শিশু শিক্ষা অধিকার আইনে বলা আছে, কোনও সরকারি স্কুল শিক্ষক টিউশন পড়াতে পারবেন না। তাঁরা যদি মনে করেন, স্কুলের মধ্যেই রিমেডিয়াল ক্লাস নিতে পারেন।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) মৃন্ময় ঘোষ গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার আশ্বাস দিয়েছেন।