South Dinajpur Arrest: ‘এই চাকরি শুধুমাত্র গরিবদের জন্য’, নতুন প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস
South Dinajpur Arrest: বালুরঘাটের খিদিরপুর হালদার পাড়ার এক মহিলা তাপসী হালদার বলেন, "আমাদের স্থানীয় এলাকারই লক্ষ্মণ চৌধুরী চাকরির প্রলোভন দেখান
বালুরঘাট: পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ। শিলিগুড়িতে ইতিমধ্যে এহেন এক প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছে। সেই ঘটনারই তদন্তে নেমে পুলিশ বালুরঘাট থেকে গ্রেফতার করল দুজনকে। শিলিগুড়ি পুলিশ ইতিমধ্যে বালুরঘাটের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। ধৃতদের নাম বিপ্লব মালি ও অলোক দাস। বছর পঁয়তাল্লিশের বিপ্লবের বাড়ি চিঙ্গিশপুর এলাকায়। অলক দাসের বয়স বছর পঁচিশেক হবে। তাঁর বাড়ি খিদিরপুর এলাকায়।
ধৃতদের শিলিগুড়ি নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। সেখানেই তাঁদের জিজ্ঞসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত, তারা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তাছাড়াও এর পিছনে একটি মাথা কাজ করছে। গোটা টিমের হদিশ পেতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে উঠে আসতে পারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সম্প্রতি এই চক্র বালুরঘাট শহরের খিদিরপুর হালদারপাড়া এলাকার একই পরিবারের ছ’জনকে তাঁদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছে। পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলেছিল ওই চক্রটি। পরে চাকরি না পেয়ে বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবার।
পাশাপাশি বালুরঘাটেরই লালমাটি, ডায়েরি ফার্ম, আদিবাসীপাড়া-সহ হিলি, গাজল ও জেলার বিভিন্ন একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে একই কায়দায় প্রতারণা করে টাকা তুলেছে এই চক্র। পুলিশের তদন্তে সেই তথ্যও উঠে আসে।
তদন্তে পুলিশের হাতে উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতারক চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বাস দিতেন, ‘এই চাকরি শুধুমাত্র গরিবদের জন্য’। এই কথা বলেই বহু যুবক ও যুবতীদের তাঁরা প্রতারণার ফাঁদে ফেলতেন বলে তদন্তে জানা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাটে ওই প্রতারণা চক্রের মূল মাথা লক্ষ্মণ চৌধুরী ও চন্দ্রা দাস। চাকরিপ্রার্থীদের শারীরিক ফিটনেসের জন্য বালুরঘাটেই মেডিক্যাল পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হত বলে জানা গিয়েছে। তাতেই অনেকের মধ্যে বিশ্বাস জন্মেছিল। তদন্ত নেমে সোমবার বালুরঘাটে যান শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল। তারা ওই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত বালুরঘাটের দু’জনকে আটক করে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি নিয়ে যায়।
বালুরঘাটের খিদিরপুর হালদার পাড়ার এক মহিলা তাপসী হালদার বলেন, “আমাদের স্থানীয় এলাকারই লক্ষ্মণ চৌধুরী চাকরির প্রলোভন দেখান। সেই প্রলোভনে আমরা শিকার হয়ে আমাদের পরিবারের ছ’জনের চাকরির জন্য টাকা দিয়েছি। আমার ছেলে, দুই জামাই, ভাইপো, ভাগ্না সহ মোট ছ’জনের টাকা দিয়েছি। সবমিলিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকা আমরা দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারি, তাঁরা ভুয়ো।”
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ ভুয়ো পুলিশ চক্রে বালুরঘাটে তদন্তে এসেছে। আমাদের তরফে তাদের সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হবে।”