Woman Harassment: মহিলাকে ধর্ষণ-কাণ্ডে ৭ বছরের সাজা দিল আদালত
Woman Harassment: সোমবার দুপুর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। অভিযুক্তকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা নির্দেশ দেন বিচারক। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বালুরঘাট জেলা আদালতের সেকেন্ড কোর্টের বিচারক শরন্যা সেন প্রসাদ।
বালুরঘাট: বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গৃহবধূর চিৎকার শুনে ছুটে এসেছিলেন প্রতিবেশী। আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের হাতে। দীর্ঘদিন ধরে সেই মামলা চলে বালুরঘাট জেলা আদালতে। গত শুক্রবার সেই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। সোমবার দুপুর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। অভিযুক্তকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা নির্দেশ দেন বিচারক। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বালুরঘাট জেলা আদালতের সেকেন্ড কোর্টের বিচারক শরন্যা সেন প্রসাদ। এনিয়ে এদিন বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জেলার সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে বালুরঘাট থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। অভিযুক্তের নাম সারিউল্লা শেখ (৫০)। বাড়ি ওল্ড মালদায়। নির্যাতিতার স্বামী ভিন রাজ্যে এক সঙ্গে কাজ করতেন অভিযুক্তের সঙ্গে। সেই থেকে দু’জনের মধ্যে পরিচয় হয়। এরপর ২০১৪ সালে ৩ মে বালুরঘাটে বন্ধুর বাড়ি আসে অভিযুক্ত। ওই দিন দুপুরে বন্ধুর বাড়িতেই খাওয়া দাওয়া করে সে। বন্ধুর স্ত্রী রান্নাবাড়ি করেছিল। এরপর মহিলার স্ত্রী বাড়ি থেকে বাইরে যেতেই তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সারিউন্নার বিরুদ্ধে।
গৃহবধূর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। আপত্তিকর অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। ওই দিনই বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। যদিও বর্তমানে সে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। দীর্ঘ ১০ বছর পর আজ বালুরঘাট জেলা আদালতের সেকেন্ড কোর্টের বিচারক শরন্যা সেন প্রসাদ আজ এই মামলার রায় দান করেন।
এ প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, “বালুরঘাট, ১২ আগস্ট: বন্ধুর বাড়ি ঘুরতে এসে তার স্ত্রীকেই ধর্ষণের অভিযোগ এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।”