Balurghat: খাবার খারাপ, দেওয়া হয়নি লাঞ্চ, তুমুল বিক্ষোভ প্রশিক্ষণ নিতে আসা ভোট কর্মীদের
Balurghat: বিক্ষোভের খবর পেয়ে বালুরঘাট কলেজে এসে পৌঁছন বালুরঘাট থানার পুলিশ ও আনন্দ ধারার প্রজেক্ট ডিরেক্টর সুব্রত মহন্ত সহ অন্যান্য আধিকারিকারিকরা। একই সঙ্গে বালুরঘাট গার্লস কলেজে যান ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ,বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা সহ পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
বালুরঘাট: দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাট সহ পাঁচটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চরম অব্যবস্থা। সকাল ১০ টা থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ নিয়ম অনুযায়ী ভোট কর্মীদের জন্য লাঞ্চের ব্যবস্থা থাকলেও বিকেল তিনটে পর্যন্ত লাঞ্চ এসে পৌঁছয়নি। এরপরই তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ভোট কর্মীরা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট পাঁচটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে শনিবার সাড়ে পাঁচ হাজার সরকারি কর্মীকে ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয় বলে খবর। এর মধ্যে রয়েছে বংশীহারী গার্লস স্কুল,বুনিয়াদপুর কলেজ,নারায়ণ হাইস্কুল, বালুরঘাট কলেজ ও বালুরঘাট গার্লস কলেজ।
ভোট কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা সঠিক সময়ে প্রশিক্ষণের জন্য আসলেও সঠিক সময়ে খাবার দেওয়া হয়নি। প্রথম ধাপে খাবার দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবে তা সকলে পাননি। এমনকী যারা খাবার পেয়েছেন তাঁদের অভিযোগ খাবারের গুণগতমান খুবই খারাপ। দুপুর পেরিয়ে বিকেল হতে চললেও খাবার না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্ষুব্ধ ভোটকর্মীরা৷ কেন এমন অব্যবস্থা তা নিয়েই মূলত ক্ষোভ দেখান শতাধিক ভোটকর্মী।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে বালুরঘাট কলেজে এসে পৌঁছন বালুরঘাট থানার পুলিশ ও আনন্দ ধারার প্রজেক্ট ডিরেক্টর সুব্রত মহন্ত সহ অন্যান্য আধিকারিকারিকরা। একই সঙ্গে বালুরঘাট গার্লস কলেজে যান ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ,বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা সহ পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। পরে তাঁদের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এবং খাবার নিয়ে আসলে তা বিতরণ করা হয়৷
অক্ষয় রায় নামে এক ভোট কর্মী বলেন, “আমরা সবাই ভোট কর্মী। আমরা খাবার পায়নি। আমাদের ১০টায় আসতে বলেছে। এসেছি। ট্রেনিং শুরু হল ১১টায়। কী হচ্ছে এইসব।” এদিকে খাবার সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা প্রশাসন আধিকারিক। পুরোটা খতিয়ে দেখার আশ্বাস প্রশাসনের।