Suicide Case: শিবের মাথায় জল ঢালা হল না! মায়ের শাড়ি পরানো পছন্দ না হওয়ায় আত্মঘাতী যুবতী
প্রতি বারের মতো এবারেও শিবরাত্রি পুজোর আয়োজন করেছিলেন আত্মঘাতী যুবতী। শিবরাত্রি উপলক্ষে উপোস করেছিলেন তিনি।
বালুরঘাট: পছন্দ মতো শাড়ি পরিয়ে দিতে পারেননি মা৷ যা নিয়েই মা-মেয়ের মধ্যে ঝামেলা। অভিযোগ, মেয়েকে বকাবকি করেন মা। এর পরই রাগ করে মা-কে ঘর থেকে বের করে দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন মেয়ে৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের ডুমইরে। মৃতের নাম প্রীতি দাস (২১)। তাঁর বাড়ি বালুরঘাটের ডুমইরে। বিষয়টি নজরে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে পরিবার সদস্যরা প্রীতিকে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্য চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রবিবার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, প্রতি বারের মতো এবারেও শিবরাত্রি পুজোর আয়োজন করেছিলেন আত্মঘাতী যুবতী। শিবরাত্রি উপলক্ষে উপোস করেছিলেন প্রীতি। রীতি মেনেই পুজো করতে চেয়েছিলেন। তাই গ্রামের সকলের সঙ্গে আত্রেয়ী নদীতে জল আনতে যেতে চেয়েছিলেন। গ্রাম থেকে নদী বেশ কিছুটা দূর হওয়ায় মা যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে ব্যাপক ঝামেলা হয় প্রীতির। অবশেষে মেয়ের জেদের কাছে নতি স্বীকার করে পরিবার৷ গ্রামের অন্যান্যদের সঙ্গে নদীতে জল আনতে যাওয়ার অনুমতি দেয় পরিবার। এই ঝামেলা মিটে যাওয়ার পর মাকে শাড়ি পরিয়ে দেওয়ার জন্য বলে প্রীতি। কিন্তু মায়ের পরিয়ে দেওয়া শাড়ি কোন রকম ভাবেই পছন্দ হয়নি প্রীতির। যা নিয়ে ফের বচসা বাঁধে মা-মেয়ের। যা নিয়ে মেয়েকে বকাবকি করেন মা। অভিযোগ, এরপরই মাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন প্রীতি। এদিকে বিষয়টি নজরে আসতেই দরজা খোলার কথা বললেও সে দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভিতর ঢোকে পরিবারের সদস্যরা। ঘরে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়েই পরিবারের লোকেরা তাঁকে তড়িঘড়ি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট থেকে বরাবরই জেদি ছিল প্রীতি। উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পর অবশ্য আর পড়াশুনা করেনি তিনি।
মৃতের আত্মীয় বিপুল দাস বলেছেন, “শিবরাত্রির পুজো করবে জন্য সবকিছু জোগাড় করে রেখেছিল প্রীতি। পাড়ার সকলের সঙ্গে নদীতে জল আনতে যেতে চেয়েছিল। জল আনতে নিষেধ করায় মায়ের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। সেই সময়ের মতো বিষয়টি মিটে যায়। এর পর মাকে শাড়ি পরিয়ে দেওয়ার কথা বলে। কিন্তু মা যে ভাবে শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছিল তা তাঁর পছন্দ হচ্ছিল না৷ যা নিয়ে মা মেয়ের মধ্যে বচসা হয়। সেই সময় মেয়েকে বকাবকি করেন মা। সেই রাগেই মাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন প্রীতি। পরে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরাও মৃত বলে ঘোষণা করে।” অন্যদিকে বালুরঘাট থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।