Sukanta Majumdar : সুকান্তর হাতেই শক্তিবৃদ্ধি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাম ছেড়ে বিজেপিতে শতাধিক কর্মী-সমর্থক
Sukanta Majumdar : শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার গাড়না এলাকায় "পাড়ায় সুকান্ত" কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানেই চলে যোগদান পর্ব।
হিলি : দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বড়সড় ভাঙন বামফ্রন্টের শরিক দল আরএসপিতে (RSP)। বুথ সভাপতি-সহ মোট ১০৫ জন আদিবাসী যোগদান করলেন বিজেপিতে (BJP)। যোগদানকারীদের মধ্যে কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকও রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত ধরে শনিবার তাঁরা আরএসপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। শনিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির গাড়নাতে এই যোগদান পর্ব চলে। একেবারে ১০৫ জনকে দলে পাওয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হিলিতে বিজেপির শক্তি বাড়ল বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও আরএসপি থেকে কেউ যোগদান করেনি বলেই জানিয়েছেন আরএসপির জেলা কমিটির সদস্য প্রলয় ঘোষ।
শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার গাড়না এলাকায় “পাড়ায় সুকান্ত” কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে সেখানে পৌঁছে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই অনুষ্ঠানে গাড়না এলাকার বুথ সভাপতি সহ ১০৫ জন আদিবাসী আরএসপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। এই যোগদান কর্মসূচিতে সুকান্ত মজুমদারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার, প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই যোগদান সংগঠনকে অনেকটাই শক্তিশালী করবে বলে দাবি করেছেন সুকান্ত।
সুকান্ত বলেন, “একশো জনের আরএসপি-তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকায় বিজেপির শক্তি অনেকটাই বাড়ল।” অন্যদিকে এবিষয়ে আরএসপির জেলা কমিটির সদস্য প্রলয় ঘোষ বলেন, “এখন বিজেপিতে নয় বামফ্রন্টে লোক যোগদান করছে। যাহা তৃণমূল তাহাই বিজেপি। তাই বামফ্রন্টে ফিরছে লোক। হিলিতে আরএসপিতে ভাঙনের কোন ঘটনা ঘটেনি। বিজেপির দাবি ভিত্তিহীন।” এদিকে সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী বিঘা উরাও জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে আরএসপি করে আসছেন। তবে এলাকায় তাঁদের বেশিরভাগ নেতৃত্ব সম্প্রতি তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তৃণমূলে ঢুকে তারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর। সে কারণেই তাঁরা বিজেপিতে চলে এলেন বলে জানিয়েছেন।