BJP: পুলিশকর্মীদের ‘ধমক’ সুকান্ত মজুমদারের, দাঁড়িয়ে থেকে লেখালেন অভিযোগ

Dakkhin Dinajpur: তপন থানার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইসি গৌতম রায়।

BJP: পুলিশকর্মীদের 'ধমক' সুকান্ত মজুমদারের, দাঁড়িয়ে থেকে লেখালেন অভিযোগ
পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন সুকান্ত মজুমদার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 2:26 PM

বালুরঘাট: অন্যায়ভাবে গাছ বিক্রি নিয়ে অভিযোগ নেওয়া হয়নি থানায়। এমনই অভিযোগ তুলে তপন থানায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অভিযোগ, পুলিশ কর্মীকে রীতিমতো ধমক দেন তিনি। এরপর তাঁর উপস্থিতিতেই তপন থানায় গাছ চুরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বালুরঘাট বনবিভাগের আধিকারিকরা। বিজেপির দাবি, এই গাছ কাটার সঙ্গে শাসকদলের নেতারা জড়িয়ে। সে কারণেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয় বলে দাবি তাদের। এ নিয়ে বনদফতরকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানাবেন বলে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও সুকান্তের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃণাল সরকার। সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার রামচন্দ্রপুর শ্মশান সংলগ্ন এলাকায় সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ ওঠে। ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে সরকারি শতাধিক গাছ কাটা হয় বলে অভিযোগ। সেই গাছের মধ্যে ছিল অর্জুন ও আকাশমণিও। অভিযোগ, দ্রুত গাছ কাটতে অত্যাধুনিক মেশিনও ব্যবহার করা হয়। গাছ কাটার পর নীচের অংশ ঢেকে দেওয়া হয়। বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধও করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বন দফতরের আধিকারিক ও পুলিশ।

অভিযোগ, এরপর শনিবার তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যায় বনদফতর। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগ নেয়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতার নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ নেয়নি পুলিশ, এমনও অভিযোগ ওঠে। এরপরই রবিবার দুপুরে তপনের রামচন্দ্রপুর এলাকায় যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বন দফতরের আধিকারিকরাও। যান রায়গঞ্জ বনদফতরের সহকারি বিভাগীয় বনধিকারিক সৌগত মুখোপাধ্যায়।

বন দফতরের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি জানানো হয় সাংসদকে। এরপরই তিনি বন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে তপন থানায় যান। তপন থানার আইসি গৌতম রায়কে একরকম ধমকের সুরেই জানতে চান, কেন শনিবার অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এরপর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বন দফতরের অভিযোগ থানায় দায়ের করান।

সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তপনে বেশ কিছু দিন ধরে গাছ কাটার চক্র চলছে। বনদফতর থেকে শনিবার থানায় অভিযোগ করতে গেলেও অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। আজকে আমি থানায় গিয়ে অভিযোগ করালাম। রাজ্যের বনদফতর চাইছে গাছ চুরির ঘটনায় তদন্ত হোক। কিন্তু পুলিশ ধরতে দিতে চাইছে না। এসব তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে হচ্ছে।”

যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের বক্তব্য, “ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ওনার জানা নেই ১৬ তারিখ বিকেলে গাছ কাটার ঘটনা ঘটার পরে ১৭ তারিখ সকালেই ওই অঞ্চলের উপপ্রধান-সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বন দফতরের আধিকারিকের সই করা নকল কাগজ দেখিয়ে এই কাজ চলছিল। এর পিছনে আসল অপরাধীকে রয়েছে পুরো ঘটনা পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।”

বালুরঘাট বনদফতরের রেঞ্জার সুকান্ত ওঝার দাবি, শনিবার তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। এখন পর্যন্ত ১৯৭টি গাছ উদ্ধার করেছেন। সেই গাছগুলিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে তপন থানায়। গাছ কাটার কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি। তবে তপন থানার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আইসি গৌতম রায়। তিনি বলেন, যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অনেক আগেই এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে ছ’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।