Netaji Jayanti: নেতাজির স্মৃতি আজও ছড়িয়ে রয়েছে হিলির জমিদারবাড়িতে

Hili: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দার্জিলিং মেল ধরে এসেছিলেন তৎকালীন দিনাজপুর জেলার হিলিতে। সেখান সভা করে বালুরঘাটে জেলা কংগ্রেসের পার্টি অফিস উদ্বোধন করেছিলেন।

Netaji Jayanti: নেতাজির স্মৃতি আজও ছড়িয়ে রয়েছে হিলির জমিদারবাড়িতে
এই জমিদার বাড়িতেই উঠেছিলেন নেতাজি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2023 | 6:31 AM

হিলি: স্বাধীনতার আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলিতে এসেছিলেন নেতাজি সুভাসচন্দ্র বসু। তৎকালীন হিলি স্টেশনে (বর্তমানে যা বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে) দার্জিলিং মেল ধরে এসেছিলেন নেতাজি। এরপর হিলির একাধিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি৷ নেতাজীকে হিলিতে দেওয়া হয় নাগরিক সংবর্ধনা। হিলির বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে হিলিবাসীর প্রশংসা করেছিলেন নেতাজি সুভাসচন্দ্র বসু৷ কথিত রয়েছে হিলির তৎকালীন জমিদার কুমুদ নাথ দাসের বাড়িতেও ছিলেন। হিলির সঙ্গে নিবিড় সংযোগ থাকলেও কোনও স্মৃতি সংরক্ষণ করা হয়নি হিলিতে। যার আক্ষেপ রয়েছে বাসিন্দাদের। সেই জায়গা থেকে নেতাজির স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি উঠেছে৷

২৬ মে, ১৯২৮ সাল। চারিদিকে তখন স্বাধীনতার জন্য জোর আন্দোলন চলছে। সেই সময় তৎকালীন দিনাজপুর জেলায় বন্যার কারণে দেখা দিয়েছিল দুর্ভিক্ষ। সেরকম একটা পরিস্থিতি চলছিল। সেই সময়কালেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দার্জিলিং মেল ধরে এসেছিলেন তৎকালীন দিনাজপুর জেলার হিলিতে। সেখান সভা করে বালুরঘাটে জেলা কংগ্রেসের পার্টি অফিস উদ্বোধন করেছিলেন। এরপর বালুরঘাট থেকে দক্ষিণে বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত পত্নিতলা ও ধামোরহাটে দুর্ভিক্ষ চলছিল। সেই এলাকায় ত্রানের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। সেই সময় জেলাতে রাত্রীবাসও করেন তিনি। বালুরঘাটের যেই বাড়িতে উঠেছিলেন সেই বাড়ির মালিক ছিলেন বালুরঘাটের অন্যতম স্বাধীনতা আন্দোলনকারী নেতা সরোজ রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। সেই বাড়ি এখনও রয়েছে বালুরঘাট শহরের সরোজ রঞ্জন সরণীর মোক্তারপাড়া এলাকায়। ১৯২৮ সালে জেলায় আসার বহু স্মৃতি জেলা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।

১৯২৮ সালের ২৬ মে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু প্রথমে হিলিতে এসেছিল। এরপর কয়েকদিন দিনাজপুরে ছিলেন। এই সময়কালে হিলির বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রতাপ চন্দ্র মজুমদারের বানানো সারদাভবন পাঠাগার দেখে নেতাজি প্রশংসাসূচক বাক্য লিখে গিয়েছিলেন। এরপর হিলির জমিদার কুমুদনাথ দাসের কাছারি বাড়িতে উঠেছিলেন। সেখানে ছিলেন তিনি৷ পরে বালুরঘাটে কংগ্রেস ঘাট এলাকায় জেলা কংগ্রেসের একটি পার্টি অফিস উদ্বোধন করে বিশাল জনসভা করেন তিনি। যদিও বা সেই পার্টি অফিস বর্তমানে নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত পত্নিতলা ও ধামোরহাটে দুর্ভিক্ষ চলছিল। যা নিয়ে বিট্রিশ সরকার উদাসীন ছিলেন। নেতাজি ওই এলাকায় গিয়ে সভা করেছিলেন। এরপর ব্রিটিশ সরকার দুর্ভিক্ষগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ত্রান পাঠাতে বাধ্য হয়। এরপরে বালুরঘাটের কংগ্রেস নেতা সরোজ রঞ্জন চ্যাটার্জির বাড়িতে রাত্রী যাপন করে পরের দিন হিলি থেকে রেল ধরে ফিরে যান নিজের গন্তব্যস্থলে।

হিলিতে যেই জমিদার বাড়িতে উঠেছিলেন সেখানে এখনো সযত্নে রাখা রয়েছে নেতাজির ব্যবহার করা চেয়ার, শোয়ার ঘাট। সেগুলোতে বছরভর ধুলো জমে থাকে৷ তবে বছর একটা দিনই সেই সব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়৷ ২৩ জানুয়ারি দিনটি এখনও যথাযথ মর্যাদায় নেতাজিকে সম্মান জানানো হয়। এদিকে হিলি পঞ্চায়েত সমিতিতে বসানো হয়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আবক্ষ মূর্তি। ২৩ শে জানুয়ারির যার শুভ উদ্বোধন করা হবে।