Dakshin Dinajpur: নার্সের স্বামীই ‘সর্বেসর্বা’, জোর করে বদলি, ভয় কাটিয়ে BDO-র কাছে ডেপুটেশন হাসপাতালের কর্মীদের

Dakshin Dinajpur: অভিযোগ, সিস্টার ইনচার্জের স্বামী নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের বদলি করছেন। এর আগেও নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে দুইজন চিকিৎসককে বদলি করেছেন বলে অভিযোগ। এমনকি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আরও বাকি স্বাস্থ্যকর্মীদের বদলি করার ভয় দেখানো হচ্ছে।

Dakshin Dinajpur: নার্সের স্বামীই ‘সর্বেসর্বা’, জোর করে বদলি, ভয় কাটিয়ে BDO-র কাছে ডেপুটেশন হাসপাতালের কর্মীদের
বিক্ষোভে হাসপাতালের কর্মীরা Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2023 | 10:29 PM

তপন: জোর করে হাসপাতালের (Hospital) কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা ও হাসপাতালের চিকিৎসক, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর মানসিক চাপ দেওয়ার উপযোগ উঠল এক নার্সিং স্টাফ ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও স্বাস্থ্যকর্মী বনাম হাসপাতালের সিস্টার ইন চার্জের দ্বন্দ্বে তোলপাড় জেলার স্বাস্থ্য মহল। সিস্টার ইনচার্জের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করল গোটা ব্লকের স্বাস্থ্য কর্মীরা। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের নার্স, জিএনএম, এএনএম-সহ প্রচুর স্বাস্থ্যকর্মী আন্দোলনে নামলেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা তপনের বিডিও এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে লিখিতভাবে অভিযোগ জানালেন। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস স্বাস্থ্য দপ্তরের। 

অভিযোগ, সিস্টার ইনচার্জের স্বামী নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের বদলি করছেন। এর আগেও নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে দুইজন চিকিৎসককে বদলি করেছেন বলে অভিযোগ। এমনকি মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আরও বাকি স্বাস্থ্যকর্মীদের বদলি করার ভয় দেখানো হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতালের কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি ও মানসিক অত্যাচার করছেন। এনিয়ে বিএমওইচের সঙ্গেও সংঘাত শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিএমওইচ ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক, জেলামুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ জায়গায় চিঠি দিয়েছেন সিস্টার ইন চার্জের স্বামী। ওই চিঠিতে বিএমওইচ সহ অন্যান্যরা স্বাস্থ্য আধিকারিকের বদলির আবেদন করা হয়। এমনকি খুন করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই অভিযোগ নিয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন হাসপাতালের বাকি স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

অভিযোগ, বহিরাগত হয়েও হাসপাতালে অন্দরের একাধিক বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। ঠিক এই জায়গায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অন্দরের কোন বিষয় থাকলে পরে তা ডিপার্টমেন্ট দেখবে। বহিরাগত কেউ এনিয়ে অভিযোগ করতে পারে কি? এদিন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরব হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসক থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মীরা এদিন স্থানীয় বিডিওর কাছে মিছিল করে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দপ্তরে অন্যান্য আধিকারিকদেরও ডেপুটেশন দেন। 

এ বিষয়ে তপন বিএমওইচ অঙ্কুর দাস কর্মকার বলেন, সিস্টার ইন চার্জ হাসপাতালের বাকি স্বাস্থ্যকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছেন। এমনকি আমার নামে সরকারি ক্ষেত্রে চিঠিও দিয়েছেন। সিস্টার ইন চার্জের স্বামী নিজের প্রভাব খাটিয়ে বদলির চেষ্টা চালাচ্ছে। একজন বহিরাগত কিভাবে হাসপাতালের ভেতরের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে? 

এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ নার্স প্রমিলা রায় বলেন, আমরা এখানে মানুষকে পরিষেবা দিতে এসেছি। কিন্তু বহিরাগত এক শ্রেণির মানুষ এসে এই হাসপাতালকে নিজেদের মত করে চালাতে চাইছে। বদলির ভয় দেখাচ্ছে। এ নিয়ে ওই সিস্টার ইন চার্জ ও তার স্বামী দুইজনকেই ফোন করেও পাওয়া যায়নি। এমনকি দুইজনকে মেসেজ করলেও উত্তর মেলেনি। তপনে ওই দম্পতির বাড়িতে গেলেও পাওয়া যায়নি। তারা বাড়িতে নেই বলেই জানিয়েছে বাড়ির বাকি সদস্যরা। 

অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস বলেন, তপন গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবা আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। যে কেউ যে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারেন। কিন্তু সেই অভিযোগের কোন সারবত্তা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।