Train Chaos: ট্রেনের ফাঁকা সিটে পা তোলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া, পিটিয়ে যাত্রীর পা-ই ভেঙে দিলেন সহযাত্রী
Balurghat: আক্রান্ত রেল যাত্রীর নাম বাবু মণ্ডল। তাঁর বাড়ি বালুরঘাটের সন্ধ্যা সিনেমা হল রক্তবিন্দু ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। বর্তমানে সে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিন সন্ধ্যায় ওই যুবকের পা প্লাস্টার করা হয়। পরবর্তীতে অস্ত্রোপচার করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
বালুরঘাট: কী কাণ্ড! ট্রেনের ফাঁকা সিটে পা তুলে বসেছিলেন যাত্রী। আর তাতেই আপত্তি ছিল সহযাত্রীর। এই নিয়ে শুরু হল বচসা। তার জেরে পা ভাঙল এক যাত্রীর। ট্রেন থেকে নামার পর সেই বচসা আরও বড় আকার ধারণ করে। পা তুলে বসাকে কেন্দ্র করেই বিবাদ, তাই পিটিয়ে সেই ‘পা’ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অন্য যাত্রীর বিরুদ্ধে। শুধুমাত্র পা নয়, স্টেশনের আদলা পাথর দিয়ে মাথাতে মারধরের অভিযোগ। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আক্রান্ত রেলযাত্রীকে। এ নিয়ে, বুধবার বিকেলে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত যুবকের স্ত্রী। পাল্টা অপরপক্ষ থেকেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই ব্যক্তিও পুলিশের কাছে মারধরের অভিযোগ জানিয়েছেন। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে সবটা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
আক্রান্ত রেল যাত্রীর নাম বাবু মণ্ডল। তাঁর বাড়ি বালুরঘাটের সন্ধ্যা সিনেমা হল রক্তবিন্দু ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। বর্তমানে সে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার সন্ধ্যায় ওই যুবকের পা প্লাস্টার করা হয়। পরবর্তীতে অস্ত্রোপচার করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বাবু মণ্ডল ও তাঁর এক বন্ধু রঘুনাথনাথ সূত্রধর মালদহে গিয়েছিলেন কাজে। সেখান থেকেই ফিরছিলেন তাঁরা। ওই ট্রেনেই ফিরছিলেন চকভৃগুর বাসিন্দা বিকাশ মণ্ডল। তিনি পেশায় সরকারি কর্মী। বালুরঘাটেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। অভিযোগ, বসার সীটে পা তুলে রাখায় বাবু মণ্ডলকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিকাশের বিরুদ্ধে ৷ আবার পাল্টা মারধর করার অভিযোগ করেন ওই সরকারি কর্মী। তবে ওই ব্যক্তির অভিযোগে অনেক অসঙ্গতি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। এমনকী বাড়িতে নেই বলেও জানান তাঁর ভাইপো।
এ বিষয়ে আক্রান্ত যুবকের বন্ধু রঘুনাথ সূত্রধর বলেন,”আমরা ট্রেনে আসছিলাম। আমার বন্ধু পা তুলে বসেছিল। তা নিয়ে আরেক যাত্রীর সঙ্গে বচসা হয়। পরে মিটে যায়। কিন্তু রাস্তাতে ওই ব্যক্তি আমাদের উপর চড়াও হন। আমার বন্ধুকে ইট ও পাথর দিয়ে মাথায় ও পায়ে আঘাত করে। আমি যেতে যেতেই সে পালিয়ে যায়। আমার মনে হয়, ওই ব্যক্তির মানসিক সমস্যা রয়েছে। তা না হলে সামান্য কারণে এভাবে কেউ আক্রমণ করে।” অন্যদিকে এবিষয়ে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তি নাথ পাঁজা বলেন, “স্টেশনের কাছে একটি মারামারি হয়েছে। এনিয়ে দুইপক্ষ থেকেই অভিযোগ এসেছে। মামলা শুরু হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”