SLST: এসএলএসটি আন্দোলনকারীর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েলন ‘সহযোদ্ধারা’
SLST: ইমরানরা দুই ভাই বোন। ইমরান বড় ছেলে। আলিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমএসসি করেছিলেন। শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। এসএসসি পরীক্ষা দেবে বলে বিএড করেন। কিন্তু এখনও চাকরি পাননি। বিক্ষোভ-আন্দোলনে নেমেও মেলেনি পথ। পরিবারের দাবি, চাকরি না পাওয়ার একটা যন্ত্রণা সবসময় কাজ করত। সেই যন্ত্রণাকে সঙ্গী করেই চলে গেলেন।
কুশমণ্ডি: এসএলএসটি আন্দোলনকারী ইমরান হোসেনের (৩৪) মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়লেন তাঁর ‘সহযোদ্ধা’রা। তাঁদের কষ্ট, চাকরির স্বপ্ন বুকে নিয়েই চলে যেতে হল ইমরানকে। কুশমণ্ডির আমিনপুর বাজারপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন ইমরান। শনিবারই কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন ইমরান। রবিবার বাবার সঙ্গে বাজার করে ফিরে মুড়ি খাচ্ছিলেন। হঠাৎ ঢলে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা বলেন, ব্রেন স্ট্রোক। মুহূর্তে সব শেষ।
ইমরান ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউ এসএসসি এসএলএসটি গ্রুপ সি-ডি একতা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে আসেন এসএলএসটি ঐক্য মঞ্চের সহযোদ্ধা মাহি পারভিন। তিনি বলেন, “আমাদের সহযোদ্ধা চলে গেল। বছরের পর বছর অরাজকতা চলছে। ৮ বছর ধরে কোনও এসএসসি পরীক্ষা হয়নি। চার বছর ধরে আমরা রাস্তায় আছি। আমরা বঞ্চিতরা রাস্তায় থাকতে থাকতে একে অপরের আত্মীয় হয়ে উঠেছি। ইমরান আজ আর শুধু আমার সহযোদ্ধা নয়, আমার ভাই। এই ধাক্কা মেনে নেওয়া আমাদের সকলের পক্ষেই কঠিন। কিন্তু এমন ঘটনা হয়ত ভবিষ্যতেও আমাদের উপর দিয়ে হবে।”
ইমরানরা দুই ভাই বোন। ইমরান বড় ছেলে। আলিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমএসসি করেছিলেন। শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। এসএসসি পরীক্ষা দেবে বলে বিএড করেন। কিন্তু এখনও চাকরি পাননি। বিক্ষোভ-আন্দোলনে নেমেও মেলেনি পথ। পরিবারের দাবি, চাকরি না পাওয়ার একটা যন্ত্রণা সবসময় কাজ করত। সেই যন্ত্রণাকে সঙ্গী করেই চলে গেলেন।