South Dinajpur: আপাত নিতান্ত গার্হস্থ্য অনুশাসন, স্ত্রীর মুখ ফসকে বেরিয়েছিল স্রেফ একটা কথা, অভিমানী স্বামী হাতেনাতে দিলেন প্রমাণ

South Dinajpur: প্রায় ১৫ বছর আগে রায়গঞ্জের গয়াস বাড়িতে পরিবারের তরফে দেখাশোনা করেই বিয়ে করেছিলেন পরিমল।

South Dinajpur: আপাত নিতান্ত গার্হস্থ্য অনুশাসন, স্ত্রীর মুখ ফসকে বেরিয়েছিল স্রেফ একটা কথা, অভিমানী স্বামী হাতেনাতে দিলেন প্রমাণ
বালুরঘাটে আত্মঘাতী যুবক (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2023 | 9:22 AM

দক্ষিণ দিনাজপুর:  স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে ঝামেলা হত। সেটা জানতেন প্রতিবেশীরাও। কিন্তু নিত্য দাম্পত্য কলহের মাঝে কেউ ঢুকতে চাননি। প্রতিবেশীরাই জানাচ্ছেন, শেষ তিন-চার দিনে ঝামেলা আরও বেড়েছিল কয়েকগুণ। রাগের মাথায় স্ত্রী একদিন তাঁর স্বামীকে বলেছিলেন ‘মরতে’। আর সেটাই হল কাল। স্ত্রীর কথা গায়ে মেখে নিয়েছিলেন স্বামী। আর তাতেই চরম সিদ্ধান্ত। ঘরে রাখা জমিতে দেওয়ার কীটনাশক খেয়ে নেন লুকিয়ে। সবটা শেষ সেখানেই। একটা অতি সাধারণ দাম্পত্য কলহের পরিণতি হল মর্মান্তিক। মৃতের নাম পরিমল পাল(৩৩)। তিনি পেশায় কৃষক। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম থানার শরণগ্রামে। বৃহস্পতিবার ভোরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের৷ পরে পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।

জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে রায়গঞ্জের গয়াস বাড়িতে পরিবারের তরফে দেখাশোনা করেই বিয়ে করেছিলেন পরিমল। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, গত এক দু মাস থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গার্হস্থ্য ঝামেলা চলছিল। সেটা শেষ চার দিনে আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, নানান ছোটো ইস্যুকে কখনও খুবই সামান্য কারণে ঝগড়া হত দুজনের। গত থেকে তিন চার দিন আগে থেকে সেই বচসা মারাত্মক আকার নেয়।

রাগ করে বাড়িতে রান্না করাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্ত্রী। এরপর কথাকাটাকাটি আরও বাড়তে শুরু করে। ঝগড়ার মধ্যেই স্ত্রী একবার বলেছিলেন, ‘মরতে’। স্ত্রীর মুখে এই কথা শোনার পরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কীটনাশক খান পরিমল। বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পতিরাম থানার পুলিশ।

এবিষয়ে মৃতের আত্মীয় নীরেন পাল বলেন, “বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেল লেগেই থাকত। এমনকি এই সব কারণে গত তিন চারদিন ধরে বাড়িতে রান্নাবান্না হয়নি। যা নিয়ে আরও বচসা বাধে৷ কথা-কাটাকাটির সময় স্ত্রী স্বামীকে বলেছিল কেন সে মরতে পারে না। স্ত্রীর মুখে এমন কথা শুনে মান অভিমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন পরিমল।”