Sansad Ratna: সংসদে ভাল পারফরম্যান্স! ‘সাংসদ রত্ন’ পুরস্কার পেলেন বাংলার সুকান্ত ও অধীর
Sukanta Majumdar: শনিবার এক অনুষ্ঠানে বাংলার এই দুই সাংসদ সহ মোট ১৩ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সুকান্ত পুরস্কার পেয়েছেন ‘প্রথমবারের এমপি’ বিভাগে।
নয়াদিল্লি: সংসদের অন্দরে কেমন কাজ করেছেন সাংসদরা। প্রতি বছর তা মূল্যায়ন করে বিশেষ কমিটি। সেখানে সংসদে সাংসদদের উপস্থিতি, বিভিন্ন বিতর্কে অংশ গ্রহণের মতো বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। এই পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে দেওয়া হয় ‘সাংসদ রত্ন পুরস্কার’। ২০২৩ সালেও দেওয়া হয়েছে সাংসদ রত্ন পুরস্কার। মোট ১৩ জন সাংসদ ২০২৩ সালে এই পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৮ জন লোকসভার সাংসদ ও ৩ জন রাজ্যসভার। পশ্চিমবঙ্গেরও দুজন সাংসদ এই পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁরা হলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শনিবার এক অনুষ্ঠানে বাংলার এই দুই সাংসদ সহ মোট ১৩ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সুকান্ত পুরস্কার পেয়েছেন ‘প্রথমবারের এমপি’ বিভাগে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়ালের সভাপতিত্বে এবং ভারতের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস কৃষ্ণমূর্তি সহসভাপতিত্বে, বিশিষ্ট সাংসদ এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের নিয়ে গঠিত এক জুরি কমিটি এই পুরস্কারপ্রাপকদের মনোনীত করেছে। বাংলার অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং সুকান্ত মজুমদার ছাড়া মনোনীতদের মধ্যে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ বিদ্যুৎ বরণ মাহতো, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ হিনা গাবিত, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ গোপাল চিনায়া শেঠি, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ সুধীর গুপ্তা, মহারাষ্ট্রের এনসিপি সাংসদ অমল রামসিং কোলহে, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ কুলদীপ রাই শর্মা, সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ জন ব্রিটাস, আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা, এনসিপি রাজ্যসভার সাংসদ ফৌজিয়া তাহসিন আহমেদ খান, সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ বিষম্ভর নিশাদ এবং কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ছায়া ভার্মা। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের পরামর্শে এই পুরস্কার প্রদান শুরু হয়েছিল। তার পর থেকে তা এখনও চলছে।
২০১৯ সালে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন তিনি। সাংসদ হয়ে এই পুরস্কার পাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তিনি। পুরস্কার পাওয়ার পর টিভি৯ বাংলাকে তিনি বলেছেন, “আমাকে যে দায়িত্ব আমার লোকসভার মানুষ দিয়েছেন, তা পালন করার চেষ্টা করেছি। এই পুরস্কার আমাকে আগামী দিনে বালুরঘাটের মানুষের উন্নয়ন করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।”