Panchayat Elections 2023: ‘এমন হলে আপনাকে ঘেরাও করব’, ডিসিআর কাটায় অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে বিডিও-কে ‘হুঁশিয়ারি’ সুকান্তর
West Bengal Panchayat Elections: হরিরামপুর ব্লক অফিসে মাত্র দু'টি টেবিল রাখা হয়েছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার ডিসিআর কাটার জন্য। ফলে একটি ডিসিআর কাটতেই অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছিল এবং মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজও শ্লথ হয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ।
হরিরামপুর: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন পর্বের শুরু থেকেই অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে আসছে বিরোধী দলগুলি। আজ মনোনয়নের তৃতীয় দিনেও সেই একই অব্যবস্থার অভিযোগ দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) হরিরামপুরে। হরিরামপুর ব্লক অফিসে মাত্র দুটি টেবিল রাখা হয়েছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার ডিসিআর কাটার জন্য। ফলে একটি ডিসিআর কাটতেই অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছিল এবং মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজও শ্লথ হয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই সমস্যার কথা দলীয় কর্মীদের থেকে জানতে পেরে নিজেই হরিরামপুরের বিডিও-র সঙ্গে দেখা করতে ছুটলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ডিসিআর কাটা নিয়ে সমস্যার বিষয়টি নিয়ে বিডিও-র সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। বিডিও-ও তাঁকে আশ্বস্ত করেন, সমস্যার সমাধানের বিষয়ে।
এর পাশাপাশি গতবারের পঞ্চায়েত ভোটেও অশান্তির অভিযোগের কথা বিডিওকে স্মরণ করিয়ে দেন সুকান্ত মজুমদার। অতীতের মতো ঘটনা যাতে এবার না ঘটে, তার জন্য প্রশাসনকে সদর্থক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। একইসঙ্গে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির সুরও শোনা গেল সুকান্তর গলায়। বললেন, ‘যদি এমন হয়, তাহলে আবার আমাদের আসতে হবে। আমরা এসে বিক্ষোভ দেখাব, আপনাকে ঘেরাও করব। সেটা আমাদেরও খারাপ লাগবে।’
পরে বিডিও অফিস থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে সুকান্ত মজুমদার বললেন, ‘দুটি টেবিল রাখা হয়েছিল। এক একটি ডিসিআর কাটতে ২০-২৫ মিনিট সময় লাগছে। বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন, আজ থেকেই ডিসিআর কাটার টেবিলের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ফলে, সব দলেরই সুবিধা হবে।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের কর্মীদের উপর বোমাবাজি হয়েছিল। তাই যদি ভাল করে ভোট করাতে হয়, তাহলে অবশ্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। নাহলে ভোটের নামে প্রহসন হবে।’
এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সুকান্ত মজুমদারকে জিজ্ঞেস করুন, গত চারদিনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কোথায় কী গন্ডগোল হয়েছে। আর ডিসিআর কাটার জায়গা নিয়ে যদি সমস্যা হয়, তাহলে তো উনি নিজের সাংসদ তহবিলের টাকায় একটা প্রাসাদ বানিয়ে দিতে পারেন। ভোটের আগে বাজার গরম করার জন্য উনি মাঠে নেমে পড়েছেন।’