Body Found: ‘ভাল থেকো পাগলি, আবার দেখা হবে’, ভোরে ইউটিউবার প্রেমিকের মেসেজ, এরপরই এল সেই খবর…
Body Found: শুক্রবার সকাল থেকে শোরগোল পড়ে যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের গাঙ্গুরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের সিসা এলাকায়।
দক্ষিণ দিনাজপুর: ইউটিউবার হিসাবে বেশ নাম রয়েছে বলরাম মাহাতোর (১৯)। ফলোয়ারও নেহাত কম নয়। মাসে ভালই আয় হত এই সোশাল প্ল্যাটফর্মে ভিডিয়ো বানিয়ে। কলেজে প্রথম বর্ষে পড়াশোনা, এলাকারই এক তরুণীর সঙ্গে প্রেম। সব মিলিয়ে দিব্যি কাটছিল সময়। কিন্তু হঠাৎই কী হল বৃহস্পতিবার রাতে, কেউ বুঝতেই পারছেন না। পরিবারের দাবি, রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। অনেক রাতে বাড়ি ফেরেন। এরপর থেকেই কেমন অন্যমনস্ক ছিলেন। শুক্রবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকে শোরগোল পড়ে যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের গাঙ্গুরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের সিসা এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে বলরামের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছে তাঁকে ঝুলতে দেখা যায়। এলাকায় পরিচিত নাম তাঁর। ইউটিউব থেকে মাসে তিনি প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা রোজগার করেন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলটি মূলত রাশিচক্রের চ্যানেল। প্রচুর ভিউয়ার্স। অন্যকে ভাগ্য পড়ানোর ভার নিয়েছিলেন যে ছেলে, তাঁর এমন পরিণতি মানতেই পারছে না পরিবার। পরিবারের দাবি, প্রায়ই সন্ধ্যা কিংবা রাতে প্রেমিকার সঙ্গে এদিক ওদিক বেরিয়ে যেতেন। কোনও কোনও দিন গভীর রাতে বাড়ি ফিরতেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতেও তেমনটাই হয়েছিল বলে দাবি বাড়ির লোকের। বলরামের দাদা কৃষ্ণ মাহাতো বলেন, “ভাই বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনায় ভাল, সঙ্গে ইউটিউবে ভিডিয়ো বানাত। ভাল টাকাও রোজগার করত। এলাকারই একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেম করত। মাঝে মাঝে ওরা রাতেও চলে যেত এদিক ওদিক। ভোরবেলা ফিরত। বৃহস্পতিবারও তাই হয়। যখন বেরিয়েছিল কেউ জানতেও পারেনি। তিনটে নাগাদ ফেরে। কোথায় গিয়েছিল কিছু বলেনি কাউকে। কিছুক্ষণের মধ্যে আবারও বেরিয়ে যায়। বুঝতে পারছি না কেন এরকম করল। তদন্ত না হলে কিছুই বলতে পারছি না।” সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোরের দিকে বলরাম তাঁর প্রেমিকাকে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। সেখানে লিখেছিলেন, ‘ভাল থেকো পাগলি, আবার দেখা হবে।’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বলরামের এক ভাইকে তাঁর প্রেমিকা নিজেই সে কথা জানান।
বলরাম স্থানীয় বুনিয়াদপুর কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বলরামের এক আত্মীয়র বাড়ি বিহারে। সেখানেই তাঁর এক পরিচিতের ইউটিউব চ্যানেল আছে। তা দেখেই ইউটিউব নিয়ে আলাদা করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন বলরাম। ধীরে ধীরে পুরোদমে কাজ শুরু করেন। মূলত রাশিফল নিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করে তা আপলোড করতেন ইউটিউবে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।