Firhad Hakim: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কেউ মারা যাবেন না, এই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না : ফিরহাদ

Firhad Hakim: কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কেউ মারা যাবেন না, দুর্ঘটনাজনিত কারণে কারও মৃত্যু হবে না, এই গ্যারান্টি তো কেউ দিতে পারে না।"

Firhad Hakim: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কেউ মারা যাবেন না, এই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না : ফিরহাদ
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2022 | 9:25 PM

শিলিগুড়ি : হরিদেবপুরে কিশোরের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ক্ষত এখনও শহরবাসীর মনে দগদগে। তারই মধ্যে একের পর এক দুর্ঘটনা। হরিদেবপুরের পর রাজাবাজারে এক কিশোরের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও একই ঘটনা। এবার ট্যাংরায়। দোকানের ভিতরেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তির। শহরে একের পর এক এমন ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ছে কলকাতা পুরনিগমের। মঙ্গলবার সন্ধেয় ট্যাংরার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করায় কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ট্যাবিং করতে গিয়ে কেউ মারা গেলে, সেক্ষেত্রে কী করা যাবে?

মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে কলকাতার মেয়র বলেন, “কেউ যদি ট্যাবিং করতে গিয়ে মারা যান… এইটিতে সম্ভবত আগুন লেগে গিয়েছিল। সেই থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কেউ মারা যাবেন না, দুর্ঘটনাজনিত কারণে কারও মৃত্যু হবে না, এই গ্যারান্টি তো কেউ দিতে পারে না। কিন্তু আমাদের সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। আমি সিইএসসিকেও বলেছি বোর্ড লাগানোর জন্য, যাতে মানুষ সাবধানে থাকতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায়, নতুন দোকান খুললে, একটি তার নিয়ে চলে যায়। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে জানি না, তবে অনেক সময়ই এমন হয়। বিদ্যুতের কানেকশন না পেলে, একটি তার টেনে নেয়। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। আমি সিইএসসিকে বলেছি কড়াভাবে বিষয়টি দেখার জন্য।”

বান্টি হালদার নামে ওই ব্যক্তি মঙ্গলবার সকালে ঘটনার সময় দোকানের ভিতরেই ছিলেন। মৃতের পরিবারের দাবি, দোকান লাগোয়া বিদ্যুতের খুঁটিতে আচমকাই আগুন লেগে গিয়েছিল। এরপর ওই ব্যক্তি দোকান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে আগুন দোকানের ভিতরে আগুন ঢুকে গিয়েছিল। সেই সময় তাড়াহুড়োতে বেরোতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। লাইটপোস্টের গায়েই আটকে যান। পরে এক ব্যক্তি বাঁশ দিয়ে মেরে তাঁকে সেখান থেকে বের করেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যু হয় বান্টি হালদারের।