Government Bus: বাড়ছে জ্বালানির দাম, কিন্তু ভাড়া নিয়ে অনড় অবস্থানে সরকার, অগত্যা সরকারি বাস যেন মরীচিকা
Government Bus: ফলে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বহু বাস। যে রুটে বেশি যাত্রী মেলে তেমন কিছু লাভজনক রুটে বাস চালিয়ে বহু রুট বন্ধ করে দিয়ে বাস বসিয়ে রেখে দিচ্ছে সংস্থাই।
শিলিগুড়ি: বেশ কিছু বছর ধরে ভাড়া বাড়েনি, তবে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে একদিকে ‘অলাভজনক’ রুটের অধিকাংশ বাস বন্ধ করে দেওয়া, অন্যদিকে স্থায়ী কর্মীর অবসরের পর চুক্তির ভিত্তিতে সামান্য বেতনে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে খরচ বাঁচিয়ে উত্তরবঙ্গে বাস পরিষেবা দিচ্ছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা।
সিটু-সহ বিরোধী ইউনিয়নের অভিযোগ, স্থায়ী কর্মীদের বেতনের অধিকাংশ টাকা দিচ্ছে সরকার। কিন্তু নিজেদের গাড়ি পথে নামিয়ে লাভের চেয়ে বহু রুটে খরচ বেশি। তেল কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সংস্থাকে। এর পাশাপাশি বাসের মেরামতি ও যন্ত্রাংশ কেনার খরচ যোগাতে গিয়ে বেহাল সংস্থা।
ফলে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বহু বাস। যে রুটে বেশি যাত্রী মেলে তেমন কিছু লাভজনক রুটে বাস চালিয়ে বহু রুট বন্ধ করে দিয়ে বাস বসিয়ে রেখে দিচ্ছে সংস্থাই। যার যেরে যাত্রীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ইউনিয়নগুলির দাবি, যাত্রী ভাড়া বাড়ছে না। কিন্তু তেলের দাম আকাশছোঁয়া। ভাড়া না বাড়ায় খরচ সামলাতে গিয়ে সংস্থা ফের রুগ্ন হয়ে পড়ছে। লাভ উধাও হয়ে গিয়েছে। বরং ক্ষতির বহর বেশি। সংস্থার নিয়ন্ত্রক রাজ্য সরকার ভাড়া নিয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে। ফলে বহু বাস কার্যত বসিয়ে রাখা হয়েছে খরচ কমাতে।
যাত্রীদের দাবি, “ভাড়া বৃদ্ধি করেই পরিষেবা দিক সরকার। কিন্তু রাজনীতি করতে ভাড়া বাড়ছে না। সংস্থা বাঁচাতে বাস বন্ধ করে দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। এতে আখেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন যাত্রীরাই।”
যাত্রী সংখ্যা যত, তার থেকে অনেক কম বাস। ফলে ব্যস্ত সময়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। বাস টার্মিনাসগুলিতে পড়ছে লম্বা লাইন। বাসের যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে অনেকটাই। যাত্রীদের প্রশ্ন কোথায় সরকারি বাস?