CPIM: ‘যুবদের উঠতে পদে-পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে’, প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ সিপিএম-এর একদল নেতার
West Bengal: রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীতে আমন্ত্রিত হয়ে ফিরেছেন অশোক ভট্টাচার্য। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে এর জেরেই যেন ঘৃতাহুতি পড়েছে সিপিএম-এ।
শিলিগুড়ি: অস্বস্তিতে বাম শিবির। লাগাতার বিদ্রোহ চলছে সেখানে। অশোক-জিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শিলিগুড়িতে ভাঙন সিপিএম-এ। পদত্যাগ করলেন একদল বাম নেতা।
রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীতে আমন্ত্রিত হয়ে ফিরেছেন অশোক ভট্টাচার্য। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে এর জেরেই যেন ঘৃতাহুতি পড়েছে সিপিএম-এ। জেলা সম্পাদক মণ্ডলী গঠন নিয়ে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছিলই। এবার একযোগে শিলিগুড়িতে দল থেকে পদত্যাগ করলেন সিপিএম নেতারা। ফলত, প্রকাশ্যে এসেছে বাম শিবিরের কলহ।
বাম শিবির সূত্র খবর, শিলিগুড়ির জেলা কমিটির সদস্য পার্থ মৈত্র, যুব নেতা জ্যোতি দে, যুব নেতা উজ্জ্বল ঘোষ, যুব নেতা বিপুল ঘোষ ও বিজয় চৌধুরী পদত্যাগ করেন দল থেকে।
পদত্যাগী বাম নেতাদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন নেতারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন। আন্দোলন বিমুখ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। যুব-নেতৃত্বকে উঠতে দিতে পদে-পদে বাধা দিচ্ছেন একদল ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব। লোভ-লালসার কারণেই পরপর হারলেও নেতাদের একাংশ পদ আঁকড়ে থাকছেন।
পদত্যাগী সিপিএম জেলা কমিটির সদস্য পার্থ মৈত্র বলেন, ‘গত ২৬ মে জেলা কমিটির সভাতেই চিঠি দিয়ে আবেদন করেছিলাম আমাকে জেলা কমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দিতে। একসময় বলিষ্ঠ নেতৃত্ব যারা ছাত্র-যুব আন্দোলনে সহয়তা করেছেন তাঁরা পার্টির অভ্যন্তরে দলতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলার কথা বলেছিলেন। উল্টে তাঁদেরকেই কোণঠাসা করা হয়েছে। যাতে তারা পার্টির কাজ করতে গিয়ে বাধা পায়। আমাদের মূল কথাটা হচ্ছে যোগ্যতম উদবর্তনের জায়গায় পার্টিতে ‘ইয়েস ম্যানের’ উদবর্তন হবে। প্রচুর মানুষ পার্টি থেকে বেরিয়ে তৃণমূল-বিজেপিতে গিয়ে নেতা হয়ে গিয়েছেন। তবে এখানকার নেতৃত্বরা পর্যালোচনাই করছে না দল থেকে কেন বেরিয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।’ অপরদিকে, পদত্যাগী যুব নেতা উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, ‘জনতার থেকে দূরে সরে যাওয়া এই নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই আমরা পদত্যাগ করলাম। তবে বামপন্থা থেকে সরছি না। ফলে বিজেপি বা তৃণমূলে যাচ্ছি না।’
অন্যদিকে, সিপিএম ভাঙন নিয়ে অশোক ভট্টাচার্য জানান যে এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না।