Mamata Banerjee: টাটাকে আমি তাড়াইনি, CPIM তাড়িয়েছে: মমতা
Mamata Banerjee: রাজনীতির কারবারিদের মতে, ২০১১ সালে বঙ্গ রাজনীতিতে ঐতিহাসিক পালাবদলে অনুঘটকের মতো কাজ করেছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। আর এই সিঙ্গুর আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য থেকে টাটার বিদায় নেওয়ার ঘটনায় বামেদেরই দুষলেন।
শিলিগুড়ি ও কলকাতা: এক দশকেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছে টাটা (Singur Tata Factory)। তবে এতদিন পেরিয়ে আসার পরও বঙ্গ রাজনীতিতে রয়ে গিয়েছে সিঙ্গুরে টাটার প্রোজেক্ট। বুধবার শিলিগুড়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে সেই ন্যানো কারখানার প্রসঙ্গ। মমতার দাবি, টাটাকে রাজ্য থেকে তিনি তাড়াননি, সিপিএম তাড়িয়েছে। বহু দিন পর ফের মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল টাটার প্রসঙ্গ। সিঙ্গুরে টাটার ন্যানো কারখানার প্রোজেক্ট বন্ধ হওয়া নিয়ে বামেরা বার বার দুষে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে। রাজনীতির কারবারিরাও মনে করেন, ২০১১ সালে বঙ্গ রাজনীতিতে ঐতিহাসিক পালাবদলে অনুঘটকের মতো কাজ করেছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। আর এই সিঙ্গুর আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য থেকে টাটার বিদায় নেওয়ার ঘটনায় বামেদেরই দুষলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেউ কেউ বাজে কথা বলে বেড়াচ্ছে। আমি টাটাকে তাড়িয়ে দিয়েছি, টাটা চাকরি দিচ্ছে। টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে। আপনারা লোকের জমি জোর করে দখল করতে গিয়েছিলেন। আমরা জমি ফেরত দিয়েছি। জায়গার তো অভাব নেই। আমি জোর করে কেন জমি নেব? আমরা এত প্রোজেক্ট করেছি, কই জোর করে তো জমি আমরা নিইনি। আমি পরিষ্কার করে বলি, আমাদের এখানে যত শিল্পপতি রয়েছেন, কারও মধ্যে ভেদজ্ঞান করি না। আমরা প্রত্যেককে চাই। তাঁরা বাংলায় বিনিয়োগ করুক। বিনিয়োগ করে এখানে দরকার হলে অনেক কর্মসংস্থান তৈরি করুক।”
এই বিষয়ে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন, “উনি বলছেন টাটাকে উনি তাড়াননি, বামপন্থীরা তাড়িয়েছে। আমি বলছি, ওনার উন্নয়নের জোয়ারে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। মানুষ এত কাজ পাচ্ছে, কাউকে ভিনরাজ্যে যেতে হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গে কাজের পাহাড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মানুষের পিছনে কাজ এত দৌড়াচ্ছে, যে মানুষের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে উনি মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন। যিনি ধর্নায় বসেছিলেন টাটা প্রকল্পের বিরুদ্ধে, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, তাঁর নাম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেছিল যাঁরা, তাঁরা বামফ্রন্টের বুদ্ধবাবুর নেতৃত্বের বাহিনী ও যুবকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় অবরোধ করেছেন?”
তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশ করেছেন। যুবকদের কাজ নেই। ভিনরাজ্যে দৌঁড়ে বেরাচ্ছে। তারপরও কোনও কাণ্ডজ্ঞান থাকলে মুখে আলকাতরা মেখে বসে থাকার কথা। সরকারের পয়সায় এদিক ওদিক ঘুরে বেরাচ্ছেন, আর ভাষণবাজি করছেন। পশ্চিমবঙ্গের সর্বনাশের দায় মুখ্যমন্ত্রীর। সিঙ্গুরে না হচ্ছে শিল্প, না হচ্ছে চাষ। বারোটা বেজে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাঁর বাহিনী পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করছে। লম্বা চওড়া কথা বন্ধ করুন। অনেক হয়েছে।”