Mamata Banerjee: বিজেপির হিমন্তের সঙ্গে দেখা করে ‘ভাল লাগল’ মমতার, দিলেন উত্তরীয়ও

Mamata Banerjee: জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বাম-কংগ্রেস সবাই আক্রমণ শানাচ্ছে মমতা-মোদী আঁতাত নিয়ে। মহম্মদ সেলিম তো হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে মোদীর বার্তাবাহক হিসেবেও ইঙ্গিত করে দিয়েছেন।

Mamata Banerjee: বিজেপির হিমন্তের সঙ্গে দেখা করে 'ভাল লাগল' মমতার, দিলেন উত্তরীয়ও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও হিমন্ত বিশ্বশর্মা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 13, 2022 | 11:16 PM

দার্জিলিং : রাজ্য রাজনীতিতে এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে শুধুই পাহাড়। মুখ্যমন্ত্রী আগে থেকেই ছিলেন দার্জিলিঙে। রাজ্যপালও ঝটিকা সফরে পাহাড়ে গিয়েছেন। সত্যিই যেন দার্জিলিং জমজমাট। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা জগদীপ ধনখড়ই নন, বুধবার দার্জিলিঙে ছিলেন আরও একজন। হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অসমের বিজেপি শাসিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল তাঁকে দার্জিলিং রাজভবন আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। চা-চক্রে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মমতাও। বুধবার বিকেলে দার্জিলিং রাজভবনে একসঙ্গে তিন জন। দীর্ঘক্ষণ তাঁরা সেখানে ছিলেন। চলে খোশমেজাজি আলোচনা। আর এই নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বাম-কংগ্রেস সবাই আক্রমণ শানাচ্ছে মমতা-মোদী আঁতাত নিয়ে। মহম্মদ সেলিম তো হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে মোদীর বার্তাবাহক হিসেবেও ইঙ্গিত করে দিয়েছেন।

বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দার্জিলিং রাজভবনে ঢোকেন মমতা। হিমন্ত বিশ্বশর্মা সেখানে আগে থেকেই ছিলেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপি শাসিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার কি নিয়ে আলোচনা হল, তা নিয়ে কৌতূহল ততক্ষণে আরও বেড়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। তবে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। তাহলে আড়াই ঘণ্টা ধরে কী আলোচনা হল তাঁদের মধ্যে? মুখ্যমন্ত্রীর কথায় এটি কেবলই সৌজন্য সাক্ষাৎ।

রাজভবন থেকে বেরিয়ে মমতা বলেন, “কী আর বলব। চা খেলাম বসে। আমি যখন থাকি, তখন তো রাজ্যপাল থাকেন না। আবার রাজ্যপাল যখন থাকেন তখন আমিও থাকি না। আবার অসমের মুখ্যমন্ত্রীও এসেছেন ওনার কাজে। তাই তিনি দুই জনকেই চা খেতে ডেকেছিলেন। একটু চা খেলাম আর একটা বিস্কুট খেলাম। আমার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। এটি শুধুই সৌজন্যমূলক চায়ের বৈঠক।” রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েও দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে কোনও কথা হয়নি বলেই জানান মমতা।

উল্লেখ্য, হিমন্ত বিশ্বশর্মা এককালে কংগ্রেসে ছিলেন। এতদিন পর হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়ে মমতাকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, “ভাল লাগল। আমি যখন কামাখ্যায় গিয়েছিলাম। তখন ওরা আমাকে খুব সাহায্য করেছিল। আজ উনি আমাকে অসমের উত্তরীয় দিয়েছেন, আমিও ওনাকে বাংলার উত্তরীয় দিয়েছি। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক রাখা উচিত বলেই মনে করি আমি। কারণ, অসমের অনেকে বাংলায় থাকেন। বাংলারও অনেকে অসমে থাকেন। আবার আমাদের সীমানাও রয়েছে অসমের সঙ্গে। যদি কখনও কোনও প্রয়োজন হয়, তখন একটা যোগাযোগ রাখা উচিত।”