Manoj Tigga: ‘চিনের নজর আছে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেই লাভ’, উত্তরবঙ্গ বিতর্কে জল্পনা উস্কে দিলেন বিজেপি বিধায়ক

North Bengal: পাহাড়ে গোর্খ্যাল্যান্ড বা কোচবিহার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে কামতাপুর রাজ্য গঠন করা নিয়ে বহু আন্দোলন হয়েছে।

Manoj Tigga: ‘চিনের নজর আছে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেই লাভ’, উত্তরবঙ্গ বিতর্কে জল্পনা উস্কে দিলেন বিজেপি বিধায়ক
মনোজ টিজ্ঞা (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 06, 2022 | 1:16 PM

শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে! এমন কানাঘুষো চলছিল। এইসব বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুললেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা। বলা ভাল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পক্ষে যুক্তিও সাজালেন তিনি। তবে একই সঙ্গে বিতর্ক এড়াতে তার দাবি, সংবাদ মাধ্যম থেকেই তিনি এসব জেনেছেন। দলে কোনও আলচনা হয়নি।

পাহাড়ে গোর্খ্যাল্যান্ড বা কোচবিহার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে কামতাপুর রাজ্য গঠন করা নিয়ে বহু আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলন থামাতে কড়া অবস্থান নিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। তৃণমূলের আমলেও বারংবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন বাংলা ভাগের প্রশ্নই নেই। তবুও আলোচনা চলছেই। উত্তরের বিভিন্ন জেলায় হাওয়ায় ভাসছে কেন্দ্রের তরফে উত্তরবঙ্গ, বিহারের কিছু এলাকা ও আসামের কিছু এলাকা নিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সরাসরি মুখ না খুলেও এই সম্ভাবনা প্রচার করেই রাজনৈতিক ভাবে লাভের আশায় দিন গুনছেন উত্তরের বিজেপি নেতারা।

আর এই সবের মধ্যেই তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। আর তাঁর সফরকালের পূর্বেই সরাসরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পক্ষে যুক্তি সাজিয়েছেন বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা। যদিও তাঁর দাবি, পত্রপত্রিকা থেকেই তিনিও জেনেছেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘চীনের নজর আছে এলাকায়। তাই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলে আখেরে ভালই হবে।’ কিন্তু পাহাড় ও কোচবিহারে আলাদা রাজ্যের দাবিদারেরা মানবেন? মনোজের জবাব, ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যদি ঘোষণা হয় সেক্ষেত্রে নিশ্চই আলাপ আলোচনা করেই তা হবে।’

মনোজ টিজ্ঞা বলেন, ‘বিগত ৩৪ বছরের পাশাপাশি তৃণমূলের আমলেও উত্তরবঙ্গে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এখানকার সকলকে চিকিৎসার জন্য বাইরে চলে যেতে হয়। না আছে রাস্তা, না শিক্ষা, না চিকিৎসা পরিষেবা ভাল। আমি সংবাদ মাধ্যমের থেকে শুনেছি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হতে পারে উত্তরবঙ্গ। তা যদি হয় আখেরে ভাল হবে।’

এ নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অবশ্য স্পষ্ট বক্তব্য এ নিয়ে তাঁর কিছু জানা নেই।