Siliguri: জোরে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে ছুরির কোপ, অভিযুক্তদের ‘শাসক-যোগ’ নিয়ে চাপানউতর
Siliguri: সূত্রের খবর, বৃহষ্পতিবার রাতে ডেপুটি মেয়রের দুই অনুগামী সৌম্যদীপ সাহা ও সুরজিৎ সাহা প্রচন্ড গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন রাস্তা দিয়ে। তা দেখে আমি প্রতিবাদ করেন পেশায় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক সৈকত সরকার।
শিলিগুড়ি: জোরে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করে ছুরিকাগত শিক্ষক। অভিযুক্ত দুই যুবক শিলিগুড়ির (Siliguri) ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে শিলিগুড়িতে। আক্রান্ত পুলিশের এক কর্তার আত্মীয় বলে জানা যাচ্ছে। যদিও শাসক নেতার অনুগামীরা ঘটনায় জড়িত হওয়ায় অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ শুরুতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পুলিশের গাফিলতির কথা স্বীকার করেছেন খোদ পুলিশ কমিশনার। তা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছে নাগরিক মহলে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে সৌম্যদীপ সাহা ও সুরজিৎ সাহা নামে দুই যুবক প্রচণ্ড গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন রাস্তা দিয়ে। তা দেখে প্রতিবাদ করেন পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সৈকত সরকার। তখনই তাঁর উপর চড়াও হন দুই যুবক। প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপর আচমকা ছুরিও চালানো হয়। এদিকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে গিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরাই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিক্ষককে হাসাপাতালে নিয়ে আসেন। এদিকে খবর জানাজানি হতেই এদিন দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে আহতের সঙ্গে দেখা করেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, “পুলিশকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলেছি। সিপি সাহেব আস্থা দিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।”
এদিন সন্ধ্য্যায় আহত স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও ডাবগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি। শঙ্কর বলেন, “পরপর এ ধরনের ঘটনা ঘটছে শিলিগুড়িতে। কিন্তু পুলিশ কিছু করতে পারছে না। কারণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দুষ্কৃতীদের কীভাবে রক্ষা করা যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি আশা রাখি শিলিগুড়ির সর্বস্তরের মানুষ এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করবেন। শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হবে।” কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “পুলিশের কিছু গাফিলতি ছিল। তবে অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত দুজনের খোঁজ চলছে।” এদিকে এর আগে কালীপুজোর সময়ও ওই এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাঁরাও ডেপুটি মেয়রের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ। তবে সে ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হননি।