AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ISI Agent in Siliguri: অঙ্ক নিয়ে স্নাতকে ভর্তি হয়েছিলেন গুড্ডু, কবে থেকে যোগাযোগ ISI-এর সঙ্গে?

ISI Agent in Siliguri: বিহার থেকে দিল্লিতে শ্রমিক নিয়ে যাওয়াই নাকি ছিল শাকিলের কাজ। লকডাউনের সময়ে বিহারে ফিরে যান তিনি।

ISI Agent in Siliguri: অঙ্ক নিয়ে স্নাতকে ভর্তি হয়েছিলেন গুড্ডু, কবে থেকে যোগাযোগ ISI-এর সঙ্গে?
সন্দেহভাজন গুড্ডু
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2022 | 1:19 PM
Share

শিলিগুড়ি: গুড্ডু ওরফে মহম্মদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালাতে গিয়ে বেশ কয়েকটি প্রি অ্যাক্টিভেটেড সিম কার্ড উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। এই সিম কার্ডগুলো কাজে লাগিয়ে ভারতীয় মোবাইল নম্বরের আড়ালে আদতে পাকিস্তান থেকে যোগাযোগ রাখা হত বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। শাকিলের হ্যান্ডলারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এই নম্বরগুলি ব্যবহার করা হত বলে মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিহার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে গত বুধবারা আইএসআই এজেন্ট সন্দেহে মহম্মদ সাকিল ওরফে গুড্ডুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারতীয় সেনার তথ্য পাচার করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।

জেরায় জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে বিহারের মতিহারির একটি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন শাকিল। অঙ্ক নিয়ে স্নাতকস্তরে ভর্তি হন তিনি। কলেজের পাঠ শেষ না করেই শাকিল দিল্লি চলে যান বলে এসটিএ সূত্রের খবর। বিহার থেকে দিল্লিতে শ্রমিক নিয়ে যাওয়াই নাকি ছিল শাকিলের কাজ। লকডাউনের সময়ে বিহারে ফিরে যান তিনি। কাজ হারানোর পরই তাঁর সঙ্গে প্রথম পাক গুপ্তচর নেটওয়ার্কে যোগাযোগ হয় বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।

জেরায় গুড্ডু আরও জানিয়েছেন, ডেটিং সাইটের মাধ্যমে প্রথম যোগাযোগ হয় পাক হ্যান্ডলারদের সঙ্গে। ডেটিং সাইট থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন শাকিল। সেখানেই তাঁকে প্রথম চরবৃত্তির কাজের টোপ দেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই সূত্রেই নাকি শিলিগুড়িতে থাকতে শুরু করেন শাকিল। জানা গিয়েছে, গুড্ডুর হ্যান্ডলার ভারতে বসেই প্রথম যোগাযোগ করেছিলেন শাকিলের সঙ্গে। নয়ডায় তাঁর শেষ উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। শাকিল তাঁকে তিনটি ভিডিয়ো পাঠিয়েছিলেন, এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকেই রাজ্যকে কয়েকদিন আগে জানানো হয়, গুড্ডু কুমার নামে এক ব্যক্তি ভারতীয় সেনার তথ্য পাচার করার কাজ করছেন। এরপর থেকেই তাঁকে চিহ্নিত করে তাঁর গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছিল।

জানা গিয়েছে, শিলিগুড়িতে থাকাকালীন এলাকায় টোটো চালাতেন শাকিল। যে বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন তিনি, সেই বাড়ি মালিকের বাচ্চাদের সন্ধ্যায় পড়াতেন বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। এলাকায় শিক্ষিত, ভদ্র ছেলে হিসেবেই ক্রমশ পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই গুড্ডু যে আসলে এই কাজ করতেন, তা ভাবতেই পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।